দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- রাম মন্দির উদ্বোধন হওয়ার আগেই পায়ে হেঁটে রাম মন্দিরের পথে রাম ভক্ত বিশম্ভর কলিতা। আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নতুন বছরেই ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা। তার আগে অযোধ্যার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন রাম ভক্ত বিশ্বম্ভর কলিতা। তিনি গত ৪ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের হাতিনগর এলাকা থেকে পায়ে হেঁটে রওনা দেন। দীর্ঘ প্রায় ১০০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে অযোধ্যায় পৌঁছাতে তাঁর সময় লাগবে প্রায় ৩ মাস। এই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে তিনি সঙ্গে নিয়েছেন নিজের বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত হনুমানজির মূর্তি। আজ তিনি দুবরাজপুরের শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমে পৌঁছান। সেখানে দুবরাজপুর জয় শ্রীরাম সেবা সমিতির পক্ষ থেকে বিশম্ভর কলিতাকে উত্তরীয় ও ফুলের মালা পরিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। পাশাপাশি দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা বিশম্ভরবাবুকে সংবর্ধনা জানান। তাছাড়াও শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রম প্রাঙ্গণে বিশম্ভর কলিতাকে উত্তরীয় ও ফুলের মালা পরিয়ে সংবর্ধনা জানান আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ। জানা যায়, বিশ্বম্ভরবাবুর সঙ্গী বলতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যাগ, জয় শ্রী রাম লেখা পতাকা এবং তাঁর আরাধ্য বজরঙ্গবলীর মূর্তি। তিনি জানান, আমি গত ৪ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে রাম মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে প্রায় তিনমাস সময় লাগবে। ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ তিনি অযোধ্যায় পৌঁছাতে পারবেন। বিশ্বম্ভরবাবুর আক্ষেপ, রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিন তিনি থাকতে পারছেন না অযোধ্যায়। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি বজরঙ্গবলীর ভক্ত। বাড়িতে হনুমানজির মূর্তি প্রতিদিন পূজা করি। তাই আমার বজরঙ্গবলীকে দর্শন করাতে চাই প্রভু রামচন্দ্রের।’’ পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে অত্যাচার ও হিংসার ঘটনা ঘটে চলছে তা থেকে মানুষের মুক্তির জন্য তিনি রামমন্দিরে প্রার্থনাও করবেন বলে জানিয়েছেন। রামমন্দিরের আগে তিনি মধ্যপ্রদেশের বাগেশ্বর ধাম যাবেন এবং তারপরে গোরক্ষনাথ মন্দির হয়ে তিনি রামমন্দির দর্শন করবেন বলে জানান। তবে আজ তিনি দুবরাজপুরের শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমে রাত্রিবাস করবেন এবং রবিবার সকাল ৭ টা সময় পাণ্ডবেশ্বর হয়ে রাম মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।