পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- সাম্প্রতিক পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার অন্তর্গত পরপর তিনটি কালী মন্দিরে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কালী মন্দির থেকে চুরি যায় ঠাকুরের গহনা সহ অন্যান্য সামগ্রী। পরপর তিনটি কালী মন্দিরে চুরির ঘটনায় এলাকার মানুষজনও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারপরই এই চুরির কিনারা করতে তদন্তে নামে ভাতার থানার পুলিশ। শেষমেষ তদন্তে নেমে সাফল্য আসে ভাতার থানার পুলিশের। তদন্তে নেমে গতকাল রাত্রে পুলিশ বিশেষ সূত্র মারফত জানতে পারে যে ওই চুরির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত চুরি যাওয়া কিছু সামগ্রী বিক্রি করে ফিরছে এবং বলগোনা বাস স্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় চুরির সঙ্গে জড়িত থাকা ওই অভিযুক্তকে। এই চুরির তদন্ত করেন ডিএসপি ক্রাইম,ভাতার থানার ওসি ।গ্রেপ্তার করে অভিযুক্ত কে নিয়ে আসা হয় জেলা পুলিশের অফিসে। সেখানেই সাংবাদিক বৈঠক করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যান সিংহ রায়। সাংবাদিক বৈঠকে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার কল্যান সিংহ রায় বলেন, অনেকদিন ধরেই এই চুরির তদন্ত চলছিল আমাদের। চুরির তথ্য আমরা জোগাড় করছিলাম। বিশেষ সূত্রে আমরা জানতে পেরেছিলাম এই চুরির সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তি বেশ কিছু জিনিসপত্র বিক্রি করে ফিরছিল সেই সময় বলগোনা থেকে গ্রেফতার করা হয় এই অভিযুক্ত কে। অভিযুক্তকে তল্লাশি করে নগদ ৫৩ হাজার টাকা, একটি নতুন মোবাইল ফোন ও একটি রুপোর মুন্ডমালা উদ্ধার করা হয়। রুপোর মুন্ডুমালা টি উদ্ধার করে আমরা বুঝতে পেরেছি এই অভিযুক্ত মন্দিরের চুরির সাথে যুক্ত আছে। তদন্ত আরো যত বেশি হবে আমরা জানতে পারবো এই চুরির সাথে আরো কোন ব্যক্তি জড়িত আছে নাকি। অভি যুক্তকে আজ আমরা জেলা আদালতে তোলা হবে এবং তদন্তের জন্য অভিযুক্তর সাত দিনের পুলিশি হেফাজত আদালতের কাছে আবেদন জানানো হবে ।তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তর নাম গোপন রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যান সিংহ রায়।