বিজেপি নেতা নেত্রীদের লাঠিপেটা করার হুঁশিয়ারির পর এবারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নামেও করা হুঁশিয়ারি।

0
202

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহ:- বিজেপি নেতা নেত্রীদের লাঠিপেটা করার হুঁশিয়ারির পর। এবারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নামেও করা হুঁশিয়ারি মালদা জেলার তৃণমূলের সভাপতি তথা মালতিপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সির। বুধবার বিকেলে মালদহের রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের অঞ্চল নেতৃত্বদের নিয়ে রাজনৈতিক সম্মেলন আয়োজিত হয়। সেখানেই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মালদা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, মালদা জেলার মানুষ প্রথমে বুঝতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টিটা কে নিজের স্বার্থে বিক্রি করে দিয়েছিলেন চোরের রূপান্তরিত করে দিয়েছিলেন । তিনি ভেবেছিলেন চোরের রাজত্ব তৈরি করে দিয়ে মালদা জেলার তৃণমূলের সবাইকে নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করবে। এক জন অপদার্থ চোর নেতাকে মানুষ ভালোবাসে না। তাই তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে মালদার মানুষ। বাংলার বাঘিনী একটাই যার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতবর্ষের মানুষ বলছেন আগামী দিনে ভারতবর্ষে লড়াই করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। আজকে আমাদের নেত্রী গেছেন উত্তরবঙ্গের গিয়ে লোকের জন্য উন্নয়নের কথা বলছেন বিভিন্ন প্রকল্প ঘোষণা করছেন। চোর অপদার্থ বেঈমান নিমকহারাম মানুষকে ভুল বুঝানো কারী বিজেপির এজেন্ট সেই বিরোধী দলনেতা কালকে শিলিগুড়িতে গিয়ে আমাদের নেত্রী মমতা ব্যানার্জিকে চোর চোর বলেছে। বন্ধু তুমি জেনে রেখো যদি তোমাকে মালদার মাটিতে পাই, কেচোর আছে তৃণমূল কংগ্রেস তোমাকে বুঝিয়ে ছাড়বে শটাং, শটাং, কি করে আওয়াজ হয় সেই আওয়াজ তোমাকে বুঝাবে।
পাশাপাশি জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির হুঁশিয়ারির এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন বিজেপিও। আর যা নিয়ে শুরু হয়েছে লোকসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক চাপানৌউত্তর।

এদিকে দক্ষিণ মালদা বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী বলেন, জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি প্রতিনিয়ত কিছু কু কথা বলছেন এবং তিনি এইসব কথা বলে নিজের পদ বাঁচাতে চাচ্ছেন। কারণ তৃণমূলের এটাই নিয়ম। আমাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারী হাত ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছিলেন। আর তৃণমূল জেলা সভাপতি তিনি যে চোর সেটা মালদার মানুষ বহুদিন ধরেই জানে। আজকে তিনি বড় বড় কথা বলছেন কখনো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাপড় খুলে দিবেন কখনো আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কে মারবেন। তাকে শুধু আমি একটা কথাই বলবো নিজের নিরাপত্তা রক্ষীকে ছেড়ে তিনি তার গ্রামে যেতে পারেন কিনা সেটা আগে তিনি দেখুন। তার নিরাপত্তা রক্ষী ছাড়া তিনি গ্রামে ঢুকতে পারবেন না। তার গ্রামের মানুষই তাকে গ্রাম ছাড়া করে দিবে।