পূর্ব মেদিনীপুর-দীঘা, নিজস্ব সংবাদদাতা :- ২৫ ডিসেম্বর এর আগেই পর্যটন শহর দীঘায় হতে চলেছে অবৈধ হকার উচ্ছেদ। আজ দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পরিষদের অফিসে বিভিন্ন আধিকারিক, হোটেল অ্যাসোসিয়েশন, হকার এসোসিয়েশন, প্রভৃতি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দীঘা প্রশাসন সূত্রে খবর। এ দিন উন্নয়ন পর্ষদের মিটিং হলে প্রশাসনিক আধিকারিকসহ পুলিশ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত পর্যটনশহর এলাকায় দিনে দিনে বেড়ে চলেছে হকারের সংখ্যা। যেখানে বারবার পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল পর্যটকদের যাতায়াতের যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য যত্র তত্র হকার না বসে। কিন্তু প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে সি বিচ ছাড়াও দীঘায় যত্রতত্র অবৈধভাবে গজিয়ে উড়ছে অবৈধ দোকান। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হয় পর্যটক থেকে আরম্ভ করে সাধারণ মানুষের। সামনেই আসছে ২৫ ডিসেম্বর, ইতিমধ্যেই পর্যটকের ঢল নামতে শুরু করেছে পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে। তাই প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে সমস্ত দোকানদাররা উন্নয়ন পর্ষদের কাছ থেকে থেকে দোকানের স্লিপ আগে পেয়েছেন অথচ দোকান পাননি এরকম ৫০০ দোকানকে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে দীঘা শংকরপুর উন্নয়নের পর্ষদের পক্ষ থেকে একটি আই কার্ড দেওয়া হবে, কেবল মাত্র তারাই দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যবসা করতে পারবেন বলে, দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক সৈকত হাজরা জানিয়েছেন। এবং এই সমস্ত দোকান দারকে প্রতিনিয়ত আইকার্ড পরে ব্যবসা করতে যেতে হবে।কিন্তু যাদের কাছে আই কারড থাকবে না তাদের দোকানটি অবৈধ বলে বিবেচিত হবে এবং সেই সমস্ত দোকান দারকে আর যত্রতত্র দোকান পাতিয়ে বসতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আধিকারিক। সামনেই যেহেতু ছুটির মরশুম তাই এমন কথা মাথায় রেখেই প্রশাসনিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আজকের এই বৈঠকে। তবে অধিকাংশ দোকানদারের কথায় দীর্ঘদিন ধরে দোকান করলেও তারা কিন্তু কোন কুপন পাননি বলে এমনই অভিযোগ রয়েছে। তবে ছুটির মরশুমে যদি তাদের তুলে দেওয়া হয় সেই সমস্ত দোকান দারদের সমস্যায় পড়তে হতে পারে।