জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আদিবাসী এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিশেষ দুয়ারে সরকার ক্যাম্প।

0
262

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বাজছে ঢাক! গ্রামের লোক বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা নিতে জমা হচ্ছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে, সেখানে এসেও লোক শিল্পীদের গাওয়া গান শুনছেন সাথে মিলছে পরিষেবা. শীতের দুপুরে এভাবেই উৎসবের চেহারায় চলছে দুয়ারে সরকার। কোথাও বিডিও কিংবা এসডিও নিজেই পৌঁছে যাচ্ছেন আদিবাসী অধ্যুষিত বাড়িতে , খোঁজখবর নিচ্ছেন সমস্ত পরিষেবা মিলেছে কিনা, না মিললে সমস্যা কোথায় তা সাথে থাকা বিভিন্ন ধরনের সরকারি কর্মী আধিকারিকদের লিপিবদ্ধ করনের মধ্যে দিয়ে সাথে সাথেই মিলছে সমাধান।
এমনই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নদিয়া প্রশাসনিক সর্বময় কর্মকর্তাদের। আজ নদীয়ার রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম ৮৭ নং বিধানসভার শান্তিপুর ব্লকের আরবান্দি দু’নম্বর পঞ্চায়েতের আড়পাড়া আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উৎসবের চেহারায় এমনই এক সরকারি পরিষেবা প্রদানের আয়োজন করা হয়। মহকুমা শাসক আইএএস রৌনক আগরওয়াল সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সন্দীপ ঘোষ সহ উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান জি আর রহমান শাহ, উপপ্রধান খোকন মুন্ডা, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য উত্তম বিশ্বাস, পঞ্চায়েত সদস্য বৈদ্যনাথ সরকার মেহেরুন নেশা, নয়ন মনি রাজওয়ার ,অসিত দেব, প্রাক্তন প্রধান অলিভিয়া সন্ন্যাসী সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি এবং মহকুমা ও ব্লক স্তরের সরকারি কর্মচারীবৃন্দ।
প্রসঙ্গত সারা রাজ্য ব্যাপি চলছে, অষ্টম দুয়ারে সরকার। চলতি বছরে ৩০ শে ডিসেম্বর কর্মসূচি প্রথমার্ধ হবে যা চলবে ৩১ শে জানুয়ারি পর্যন্ত। এবারের কর্মসূচিতে মোট ৩৬ টি পরিষেবা পাওয়া যাবে। জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে কেন্দ্র সরকারের দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী করা হচ্ছে অন্যদিকে যোগ্যরা যাতে বঞ্চিত না হন তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
তবে এর আগে বিভিন্ন বিদ্যালয় এ অনুষ্ঠিত ক্যাম্পে যেতেন এসডিও বিডিও সহ জেলা প্রশাসন। এবারে আরো প্রাসঙ্গিক করে তুলতে তারা পৌঁছাচ্ছেন বাড়ি বাড়ি। অনেক ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায় গ্রাহক এবং পরিষেবা প্রদানকারীদের মধ্যে সমন্বয়ের কিছুটা সমস্যার জন্য ছোট্ট একটি অংশ বঞ্চিত থাকছিল। এবার সেই সমস্যা দূর করতেই হয়তো জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ।
গ্রাম পঞ্চায়েতের VRP টিম, আশা দিদি, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, স্থানীয় পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য/সদস্যা, গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক কর্মচারী, স্বাস্থ্য কর্মী,স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা, সংঘ সদস্যা, পদাধিকারী,কর্মচারী,সকলে মিলে একযোগে কাজ টি করেন বলেই জানিয়েছেন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সন্দীপ ঘোষ। তিনি বলেন এটি একটি বিশেষ ধরনের কর্মসূচি যা রানাঘাট মহকুমায় এই প্রথম সরকারি পরিষেবা প্রকৃতপক্ষেই আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় বাড়ির দুয়ারে। তাদের না জানার আগ্রহই হোক বা আমাদের বোঝানোর, অনেকেই তাদের অধিকার সম্পর্কে জানেন না আজ সেই সচেতনতাও করা হলো একই সাথে।
মহকুমা শাসক আইএএস রৌণক আগরওয়াল বলেন, জীবিকা অর্জনের উদ্দেশ্যে তারা বেশিরভাগ সময়ই থাকেন মাঠে সে কারণে হয়তো এর আগের বিভিন্ন পরিসেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। তাদেরকেই আজ খুজে বের করা হয়েছে দেওয়া হয়েছে বাড়িতে বসেই পরিষেবা।

অন্যদিকে সরকারি সুবিধা বঞ্চিত মানুষজন স্বয়ং বিডিও এসডিও তাদের বাড়িতে এসে এভাবে বুঝিয়ে কাজ করে দেবার জন্য খুশি।
এদিন প্রায় ৭০ টি পরিবার ক্যাম্পে এসে পরিষেবা নেন অন্যদিকে বাড়িতে পৌঁছানো হয় প্রায় কুড়ি টি আদিবাসী পরিবারের।