ডিম বিক্রি করে বিদ্যুতের বিল চাঞ্চল্যকর অভিযোগে উত্তাল নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ।

0
249

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  ডিম বিক্রি করে বিদ্যুতের বিল চাঞ্চল্যকর অভিযোগে উত্তাল নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ। শিশুদের খাবারের ডিম বিক্রি করে ইলেকট্রিক বিল মেটাতে ব্যস্ত দিদি মুনি, এর প্রতিবাদে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ অঙ্গনারী কেন্দ্রে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ ।ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় না, বাচ্চারা না আসলেও উপস্থিতি খাতায় নাম দেখিয়ে খাবার তুলে নেওয়া হয়। পাশাপাশি বাচ্চার অভিভাবকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত দুর্ব্যবহার করেন দিদিমণি। মূলত এই অভিযোগ তুলে অঙ্গনারী কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর। নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার শিবনিবাস বাঘাযতীন পল্লী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘটনা। ওই এলাকার বিভিন্ন অভিভাবকদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই ঠিকমতো বাচ্চাদের খাবার দেওয়া হয় না। বাচ্চার পরিবারের সঙ্গে করা হয় দুর্ব্যবহার। শুধু তাই নয় বিভিন্ন অছিলায় নিয়ম দেখিয়ে ঠিকমতো ডিমও দেওয়া হয় না বলে দাবি পরিবারের। পাশাপাশি যদি কোনদিন কোন বাচ্চা অনুপস্থিত থাকে তাহলে উপস্থিত খাতায় তার নাম দেখিয়ে তাদের প্রাপ্য খাবার তুলে নেন দিদিমণি। একাধিকবার তারা দিদিমণিকে জানিয়েও কোন লাভ না হওয়ায় অবশেষে এদিন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় অঙ্গনারী কেন্দ্রে সুপারভাইজার সহ, কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা । তারা পৌঁছাতেই তাদের কেউ ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা । এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ । তাদের দাবি অবিলম্বে এই দাবিগুলো মেনে স্কুল খুলতে হবে দিদিমণিকে। অন্যদিকে ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে ওই অঙ্গনারীর কেন্দ্রের দিদিমণি এবং সহায়ক। তাদের দাবি উল্টে বাচ্চাদের অভিভাবকরায় এসে অশালীন আচরণ করে তাদের সঙ্গে। তাদের ন্যূনতম সম্মানটুকু দেওয়া হয় না। তাদের দাবি সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই খাবার দেওয়া হয় বাচ্চাদের। অভিভাবকরা যে দাবি তুলছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
অঙ্গনারী কেন্দ্রের সুপারভাইজার আশালতা বিশ্বাস বলেন, ডিম বিক্রি করে ইলেকট্রিক বিটার মিটানোর যে পদ্ধতি সেটা সম্পূর্ণ বেআইনি। আর ডিম বিক্রি করে এখানে ইলেকট্রিক বিল দেওয়া হয় সেটাও আমার জানা নেই। দিদিমণি নিজের ব্যক্তিগত টাকাতেই ইলেকট্রিক বিল মেটেন বলে আমার জানা রয়েছে। পাশাপাশি দিদিমণি নিজেই বিভিন্ন মায়েদের কাছ থেকে পাঁচ টাকা করে সাহায্য দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন সেটা যদি দিয়ে থাকে তাহলে ইলেকট্রিক বিল মেটাতে সুবিধা হয়। পাশাপাশি তিনি বলেন শিশুদের খাবার বঞ্চিত করে বিল দেয়া এটা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় ।