বালুরঘাটে গ্যাসের দোকানে গিয়ে আধার কার্ডের সাথে গ্যাসের বইয়ের লিংক করাতে গিয়ে প্রত্যেকদিন হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।

0
77

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- বালুরঘাটে গ্যাসের দোকানে গিয়ে আধার কার্ডের সাথে গ্যাসের বইয়ের লিংক করাতে গিয়ে প্রত্যেকদিন হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশক্রমে সাধারণ মানুষ যাদের গ্যাসের বই আছে তাদের ভর্তুকি টাকা পেতে গেলে ডিসেম্বর মাসে আধার কার্ডের সাথে গ্যাসের বইয়ের লিংক করাতে হবে। এইজন্য প্রত্যেকদিন সাধারণ মানুষ গ্যাসের দোকানের বাইরে দীর্ঘ লাইন দিচ্ছেন। অনেক সময় দু’ঘণ্টা তিন ঘন্টা সময় পেরিয়ে গেলেও লিংক ফেল বলে গ্যাসের দোকানের মালিকেরা বলছেন যে আধার কার্ডের সাথে গ্যাসের বইয়ের লিংক হবে না। পরে আসুন। আর এতেই বিলম্বনায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। আর সবচেয়ে বেশি অসুবিধা ভোগ করতে হচ্ছে শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং বয়স্ক মানুষদের। তারা দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও তাদের গ্যাসের বইয়ের সাথে আধারের লিংক করাতে পারছেন না। তারা দাবি জানিয়েছেন তাদের মতো বয়স্ক মানুষজন এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষজন ইতিমধ্যেই প্রচন্ড অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকারের ওপর তারা তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, একজন মানুষের আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড আর কত কি সরকার চাইবে? আমরা এর জন্য প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। অবিলম্বেই এইরকম অব্যবস্থার সমাধান হোক। গ্যাসের দোকানের লাইন না দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্যাসের বই এবং আধার কার্ডের লিংক করানো। বহু মানুষ গ্যাসের লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এবং তাদের যদি জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে তাহলে তার দায়িত্ব কে নেবে? সাধারণ মানুষ দাবি জানিয়েছেন, এর আগেও কেন্দ্রীয় সরকারের খামখেয়ালীপনায় নোট বন্দির সময় সাধারণ মানুষকে এরকম হয়রানির শিকার হতে হয়েছিল। এমনকি বহু মানুষ নোট বন্দির সময় লাইনে দাঁড়িয়ে প্রাণ পর্যন্ত দিয়েছিলেন। আবার এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা দেখতে পাচ্ছি গ্যাসের সাথে আধারের লিংক করার সময়। আমরা দাবি জানাচ্ছি অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এ বিষয়ে সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া। যাতে সাধারণ মানুষ বয়স্ক মানুষ এবং প্রতিবন্ধী মানুষ হয়রানির শিকার না হন।
বাইট নীতেশ বসাক
জিষ্ণু নিয়গী
সুরেশ চন্দ্র সরকার