আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ নারী শক্তি রানী লক্ষ্মীবাঈ” এই থিম নিয়ে দিল্লির বুকে রিপাবলিক প্যারেড ক্যাম্পে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের মেয়ে সুস্মিতা সরেন যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের অন্য আটজন সদস্যের সঙ্গে। উল্লেখ্য ২০২৪ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে ৩১ শে জানুয়ারি পর্যন্ত, এক মাস ব্যাপী প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড ক্যাম্পে সুযোগ পেলেন বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজের এনএসএস সুস্মিতা । দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের জাতীয় প্যারেড দেখতে মুখিয়ে থাকেন আট থেকে আশি সকলেই। এই কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করা স্বপ্নের মতই সুস্মিতা সরেনের কাছে। তার এই সাফল্যে ভীষণ খুশি শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে এন এস এস সহপাঠীরা। গোটা পশ্চিমবঙ্গ তথা আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্যেও সুস্মিতা এক দৃষ্টান্ত। বাঁকুড়া জেলার খাতড়ার বাসিন্দা সুস্মিতা সরেন। বাঁকুড়া সম্মেলনি কলেজে সংস্কৃত অনার্সের এই ছাত্রী ১ বছর হল এনএসএস এ যোগদান করেছেন। গত নভেম্বর মাসে উড়িষ্যায় বাছাই পর্ব হয়। বাছাই পর্বে যোগদান করে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেছে নেওয়া হয় আটজন মেয়েকে। তাদের মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়ার সুস্মিতা সরেন।
বাঁকুড়া জঙ্গলমহল থেকে দিল্লি যাত্রা। বাঁকুড়ার লাল মাটি থেকে গোটা দেশের সামনে নারী শক্তি প্রদর্শন করার অভিযান মোটেই সহজ ছিল না। সুস্মিতা সরেন জানিয়েছেন চোখের জলে মঞ্চ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। হ্যাঁ ঠিকই শুনলেন, এনএসএস এর হয়ে যখন প্রথমবার মঞ্চে উঠেছিলেন সুস্মিতা তখন কি করতে হবে বুঝতে না পেরে মঞ্চেই ভেঙে পড়েন কান্নায়। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে জয় করেছেন নিজের ভয়কে এবং অবশেষে এসেছে সফলতা। বাঁকুড়ার সুস্মিতা সরেনের জন্য গর্বিত বোধ করছে জেলা বাঁকুড়াও। এনএসএস প্রোগ্রাম অফিসার এবং জুওলজি বিভাগের বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজের এসোসিয়েট প্রফেসর সুরজিত মজুমদার জানান, “সুস্মিতা সরেন এনএসএস এবং গোটা কলেজের জন্য একটি দৃষ্টান্ত এবং উদাহরণ। অনার্সের পড়াশোনার পাশাপাশি, অত্যন্ত কঠিন পরিশ্রম করে এই অসাধ্য সাধন করেছেন তিনি।”