পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- তিনি জানান , বাংলা ধর্মের দোহাই দিয়ে বিভাজন মানবে না। এখানকার মানুষের একশো দিনের কাজের টাকা , আবাস যোজনার টাকা , সড়ক যোজনার লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রেখেছে। বাংলার তৃণমূলের সাংসদরা যাতে আওয়াজ তুলতে না পারেন এজন্য একের পর এক সাংসদ দের সাসপেন্ড করা হচ্ছে।
তিনি জানান , বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যে লড়াই শুরু করেছেন , তৃণমূল নেতা অভিষেক ব্যানার্জি যে লড়াইয়ের সামনে রয়েছেন এত সহজে বাংলাকে দমন করতে পারবে না বিজেপি।
শুক্রবার ভিড়ে ঠাসা সভায় তিনি জানান , একদিকে বিরোধীদের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে , যে নজিরবিহীন ফ্যাসিবাদী আক্রমন চালানো হচ্ছে তা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদকেও হার মানায়।
এরপর লোকসভা ভোটের ঠিক আগে ধর্মের ভিত্তিতে দেশকে বিভাজন করতে নেমে পড়েছে বিজেপি ও আর এস এস ।
তিনি জানান , সংগঠিত শিল্পে শ্রমিকের হার ১২ শতাংশ আর অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের হার ৮৮ শতাংশ। চা শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে কেন্দ্র মাথা ঘামায় না । ওরা মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে ভোট বৈতরণী পার হতে চায়।
একের পর এক সাংসদ কে বহিস্কার এর তীব্র সমালোচনা করে তিনি জানান , বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করতে করতে এমন অবস্থা হয়েছে যে যিনি সেদিন দিল্লিতে নেই চেন্নাইয়ে রয়েছেন ডিএমকের সেই সাংসদ কেও সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।
ঋতব্রত জানান , আসলে বিজেপি গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ভেঙ্গে দিতে চাইছে। নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে ফেলে দিতে চাইছে।
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি,তৃণমূলের মেদিনীপুর সংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা , বিধায়ক দীনেন রায় , সূর্য অট্ট , তৃণমূল নেতা গোপাল খাটুয়া, জেলা যুব সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তী, প্রাক্তন বিধায়ক প্রদুৎ ঘোষ, কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।