পূর্ব বর্ধমান, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- “ইতিহাসের বর্ধমান, উন্নয়নের বাড়ছে মান” এই ভাবনাকে সামনে রেখে শনিবার থেকে শুরু হলো ২৪তম বর্ধমান পৌর উৎসব। বর্ধমানের শাঁখারী পুকুর উৎসব ময়দানে প্রদীপ প্রজ্জ্বোলনের মাধ্যমে উৎসবের উদ্বোধন করেন রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিষ চ্যাটার্জি। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত ভাষণ দেন বর্ধমান পৌর উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি তথা বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়, বিশিষ্ট গায়ক শ্রীকুমার চক্রবর্তী, রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জী, বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস, বর্ধমান পৌরসভার কাউন্সিলার অরূপ দাস, সদর মহকুমা শাসক তথা বর্ধমান পৌর উৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস, বর্ধমান পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা উৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মৌসুমী দাস, বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারপার্সন কাকলি তা গুপ্ত, বর্ধমান পৌরসভার কাউন্সিলর তথা আইনজীবী অরূপ দাস সহ অন্যান্য কাউন্সিলর ও বিশিষ্টজন।
শনিবার উৎসবের উদ্বোধনের প্রাক্কালে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা বর্ধমান শহর পরিক্রমা করে। এই পদযাত্রায় বর্ধমান শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক আধিকারিকসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। এদিন উৎসবের বিশিষ্ট অথিতিরা জানান, বর্ধমানের উৎসবে হাজির হতে পেরে খুব ভালো লাগছে।বর্ধমান পৌর উৎসব চারুকলা, ললিত কলার প্রসার ঘটানোর কাজে অনুঘটকের কাজ করছে। বর্ধমান পৌরসভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গান ও নাচ দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেন অথিতিরা।
পৌর উৎসব চলবে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকছে নাচ গানের জমজমাট অনুষ্ঠান। উল্লেখযোগ্য বহিরাগত শিল্পীদের মধ্যে ২৪ডিসেম্বর থাকছে প্রাঞ্জল, ২৫ ডিসেম্বর জয়তী চক্রবর্তী, ২৬ ডিসেম্বর লোপামুদ্রা মিত্র, ২৭ ডিসেম্বর বর্ধমানের তারারা, ২৮ ডিসেম্বর জলি মুখার্জি, ২৯ ডিসেম্বর শোভন গাঙ্গুলি, ৩০ ডিসেম্বর দোহার এবং ৩১ ডিসেম্বর বাংলা ব্যান্ড “দোহার”। এছাড়া প্রতিদিন স্থানীয় শিল্পীরাও অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা “ইতিহাসের বর্ধমান, উন্নয়নের বাড়ছে মান” এই ভাবনাকে সামনে রেখে শনিবার থেকে শুরু...