বালুরঘাট স্টেশনে অন্তত দ্রুততার সাথে পিক ও সিক লাইন ও তৃতীয় প্ল্যাটফর্মের কাজ চলছে। দিল্লি

0
95

নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাটঃ- স্বাধীনতার ৬০ বছর ধরে বালুরঘাট থেকে অন্যত্র যাওয়ার একমাত্র ভরসা ছিল মোটর গাড়ি। ২০০৪ সালে রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদের হাত ধরে জেলায় প্রথম আসে রেল।প্রথমে শুধু একটি মাত্র মালদা ও বালুরঘাটের মধ্যে চলাচল দিয়ে শুরু হলে বিশ বছর পর সেই বালুরঘাট স্টেশন থেকে ৫ – পাচ খানি ট্রেন কলকাতা স্টেশন, শিয়ালদা, হাওড়া ও নবদ্বীপ এবং শিলিগুড়ির মধ্যে চলাচল করায় যাতায়াতে জেলার মানুষের বর্তমানে একমাত্র ভরসা রেল।

সম্প্রতি রেলমন্ত্রক আরো একটি বালুরঘাট ও শিয়ালদার মধ্যে নতুন ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছে।ইতিমধ্যে বালুরঘাট পর্যন্ত রেলের বৈদ্যুতিকরনের যাবতীয় কাজ শেষ হয়ে গত জুলাই মাস থেকেই বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে গেছে।পাশাপাশি বালুরঘাট থেকে আরো নতুন ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা অনুযায়ী বর্তমানে বালুরঘাট স্টেশনে তৃতীয় প্ল্যাটফর্ম ও সিক এবং পিক লাইনের কাজ ও শুরু করে দেওয়া হয়েছিল।ইতিমধ্যে আবার ভারতীয় রেল বালুরঘাট স্টেশনকে তাদের অমৃত ভারত প্রকল্পে জুড়ে দেওয়ায় আগামী দিনে বালুরঘাট স্টেশন নতুন রুপে আত্মপ্রকাশ করবে। যার ফলে জেলার মানুষের অনেক সুবিধে হবে। তবে জেলার রেল উন্নয়ন ও বালুরঘাট রেল স্টেশনের পিক ও সিট লাইন ও তৃতীয় প্ল্যাটফর্ম তৈরীর ব্যাপারে এবং বালুরঘাট স্টেশনকে অমৃত ভারত প্রকল্পে নিয়ে আসার পিছনে বড় অবদান ও ভূমিকা রয়েছে বালুরঘাটের বর্তমান সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের।বলা যায় তার ঐকান্তিক লাগাতার প্রয়াসের ফল এই উন্নয়ন দ্রুত সম্ভব হয়েছে।

পাশাপাশি বর্তমানে বালুরঘাট স্টেশনে অন্তত দ্রুততার সাথে পিক ও সিক লাইন ও তৃতীয় প্ল্যাটফর্মের কাজ চলছে। দিল্লি থেকে জেলায় ফিরলেই সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের কাজের অগ্রগতি দেখতে যাওয়া যেন রুটিনে পরিনত হয়ে গেছে।বলতে গেলে তিনিই রেলমন্ত্রীর সাথে বার বার দেখা করে এই উন্নয়ন দ্রুততার সাথে শেষ করতে একবার খোদ উত্তরপুর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারকে গৌহাটির সদর দফতর থেকে ছুটিয়ে বালুরঘাট নিয়ে আসছেন এই কাজ যাতে অতি দ্রুততার সাথে শেষ করা সম্ভবপর হয়।

তবে আশা করা যাচ্ছে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এই কাজ শেষ হবে এবং প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে সম্ভবত ৩০ ডিসেম্বর বালুরঘাট থেকে শিয়ালদার মধ্যে নতুন ট্রেন চলাচল শুরু করবে বালুরঘাট স্টেশন থেকে। যা জেলাবাসির কাছে নতুন বছর ২০২৪ এর কেন্দ্রের ও বালুরঘাট সাংসদের তরফে উপহার স্বরুপ বলা যায়।