রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে আমন্ত্রণের হলুদ চাল “অক্ষত” শ্রীরামচন্দ্রের ছবি এবং আমন্ত্রণ পত্র নিয়ে বছরের প্রথমেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছাছেন রানাঘাটের বিভিন্ন ওয়ার্ডে।

0
131

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে আমন্ত্রণের হলুদ চাল “অক্ষত” শ্রীরামচন্দ্রের ছবি এবং আমন্ত্রণ পত্র নিয়ে বছরের প্রথমেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছাছেন রানাঘাটের বিভিন্ন ওয়ার্ডে।
আগামী ২২শে জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন হওয়ার কথা অযোধ্যায়। পরিষদ যাকে মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা বলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই উদ্বোধনে অংশ নেবেন বলেই জানা গেছে যদিও ইতিমধ্যেই তিনি সরজমিনে খতিয়ে দেখে এসেছেন গোটা বিষয়টি।
সর্বসাধারণের আমন্ত্রণের জন্য বহু প্রাচীন সনাতনী রীতি এবং বর্তমান উত্তরপ্রদেশের নিয়ম অনুযায়ী হলুদ মাখানো চাল অর্থাৎ অক্ষত কিংবা প্রসাদী চাল ভারতের প্রতিটা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার তৎপরতা চলছে, বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং অন্যান্য বিভিন্ন সনাতনী ধর্মীয় সংগঠন গুলির পক্ষ থেকে। আমন্ত্রণের প্রধান ভূমিকায় রয়েছেন শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ট্রাস্ট কমিটি। ইতিমধ্যেই অযোধ্যা থেকে তিন কলসি ভর্তি হলুদ চাল ‘অক্ষত’ চলে এসেছে বাংলায়। এবার সেই প্রসাদী চাল, শ্রী রামচন্দ্রের ছবি এবং রাম মন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণ পত্র সাথে নিয়ে রানাঘাটের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাড়ি গেলেন রানাঘাটের উত্তর পশ্চিমের বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় সহ রানাঘাট পৌরসভার 7 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কমনাশীষ চট্টোপাধ্যায় সহ স্থানীয় নেতৃত্ব। ধর্ম শাস্ত্র অনুযায়ী হিন্দু ধর্মের প্রতিটি পুজোর অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী চাল বা অক্ষত কিংবা প্রসাদী চাল।
পুজোয় অখণ্ড চালের ব্যবহারকে অত্যন্ত কার্যকরী মনে করা হয়। যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে চাল ব্যবহার করা হয়েই থাকে। অনেক সময় লাল, হলুদ, সবুজে রাঙানো চাল ব্যবহার করা হয়। এগুলির মধ্যে হলুদ রঙের সাহায্যে আর্থিক সমস্যা দূর করার নানান উপায়ের উল্লেখ পাওয়া যায়। দেব-দেবীদের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য এই চাল মাঙ্গলিক। এমনকি গৃহে শুভ অনুষ্ঠানের জন্যও এই চাল দিয়েই আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই চালকেই বলা হয় অক্ষত । এই প্রসাদী চাল বিতরণ করতে গিয়ে। তবে প্রত্যেকেই তাদের দেবতার সিংহাসনে রাখছেন এই চাল শ্রী রামচন্দ্রের ছবি এবং আমন্ত্রণপত্র।