নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ঘটা করে অনুষ্ঠান করার কথা সকলকে জানিয়ে প্রতারণার শিকার হল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শতাধিক সাহিত্যিক ও কবি। অভিযোগ রীতিমতো অনুষ্ঠানের নাম করে টাকা তুলে প্রতারণা করা হয়েছে আগত সাহিত্যিক ও কবিদের সাথে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকেই সরগোল পড়ে যায় নদীয়ার শান্তিপুরে। জানা যায় শান্তিপুরের একটি স্কুলের হল ঘরে নবজাগরণ সাহিত্য পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে আগত প্রত্যেক কবিদের এবং সাহিত্যিকদের বলা হয়েছে জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। সেইমতো রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় শতাধিক কবি ও সাহিত্যিক ট্রেনে করে শান্তিপুর এসে পৌঁছান, এরপর গন্তব্যস্থলে গিয়ে দেখেন অনুষ্ঠানের কিছু আয়োজন করা হয়নি। ওই সংগঠনের কর্ণধার কল্লোল সরকার নিজেই সাহিত্যিক বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তার সাথে whatsapp ও ফেসবুকে যোগাযোগ হয় প্রবীণ সাহিত্যিক ও কবিদের সাথে, এই অনুষ্ঠানে ফোনেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, কিন্তু আজ সকালে এই চিত্র দেখতে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে আগত সাহিত্যিক ও কবি রা। কর্ণধার কল্লোল সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তাকে ফোনে না পাওয়াই অনেকেরই সন্দেহ তৈরি হয়। তারা জানতে পারেন হঠাৎই ওই কর্ণধার কল্লোল সরকার অসুস্থ হয়ে পড়ে, যদিও অসুস্থতার কথা শুনে প্রত্যেকে চলে যান শান্তিপুর হাসপাতালে। সাহিত্যিক ও কবিদের দাবি, এই সংগঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। কিন্তু কিভাবে সেটা সম্ভব তা তাদের কাছে অজানা। যদিও বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠে আসাতে শান্তিপুর হাসপাতালে পৌঁছান পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে যাই শান্তিপুর থানার পুলিশ। চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষের দাবি, পৌরসভা এলাকায় যদি কোন অনুষ্ঠান হয় তার জন্য প্রশাসনিক অনুমতি লাগে কিন্তু পৌরসভা বা থানাকে কোন অনুষ্ঠানের কথাই লিখিতভাবে জানানো হয়নি। কবিদের সাথে তিনি কথা বলে জানতে পারেন, এক প্রকার এই ধরনের অনুষ্ঠানের নাম করে প্রতারণা করার ছক, তা ছাড়া আর কিছুই না। সত্যিই যদি ওই সাহিত্যিক প্রতারণা করে থাকে তাহলে প্রশাসন যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করবে। অন্যদিকে পুরো ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে সংগঠনের দুই কর্ণধার কে আটক করে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা ঘটা করে অনুষ্ঠান করার কথা সকলকে জানিয়ে প্রতারণার শিকার হল রাজ্যের বিভিন্ন...