নবদ্বীপ ইদ্রাকপুরের বাঁধে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পূর্বস্থলীর চুপী চড়, এদিন পরিদর্শনে ছয় দপ্তরের প্রতিনিধী।

0
62

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  শীতের মরসুমে রাজ্যের সকল পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি পূর্ববর্ধমানের পূর্বস্থলীর চুপী একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে, এমনকি বীগত দিনে মূখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও এই চুপিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব দেবার কথাও শোনা গিয়েছিল।

চুপির অন্যতম বৈশিষ্ট্য তথা আকর্শন হলো শীতের মরসুমে এখানে হাজির হয় বহু প্রজাতির দেশ বিদেশের পরিযায়ী পাখি, সাথে চুপি এলাকায় বহু মানুষ মৎস্য জিবি হিসেবেও জীবন জিবিকা নির্ভর করে।
মোটের ওপর বিশেষ করে শীতের মরসুমে কয়েক মাস সহ বছর ভর এই চুপিকে তথা চুপির পাখিয়ালয়কে ঘিরে বিভিন্ন ভাবে আর্থিক দিক থেকে লাভবান হয়ে থাকে স্থানীয় নৌকা চালক সহ বিভিন্ন ব্যাবসায়ী।

সামগ্রিক ভাবে পর্যটন কেন্দ্র তথা,টুরিস্ট স্পট হিসেবে একদা সমাদৃত এই চুপির বর্তমানে বিশেষ করে এবছরের শুরু থেকেই যেন ছেয়েছে কালো মেঘে,

স্থানীয় সুত্রে জানা যায় বীগত কয়েক বছর ধরেই এই চুপির পাখিয়ালয়ে আসছেনা সেভাবে কোন পরিযায়ী পাখি, হারাচ্ছে চুপির পুরোনো ঐতিহ্য, স্মৃতি, ফলত পর্যটকদের আনাগোনাও আগের থেকে কমেছে অনেকটাই কম।

আর এই চুপির এহেন পরিস্থিতির অন্যতম কারন হলো নবদ্বীপ ব্লকের ইদ্রাকপুরে একটি বাঁধ, বুধবার নবদ্বীপে সেই বাঁধ পরিদর্শনে এসে এমনটাই দাবী করেন, পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী ২ ব্লকের জেলার বনদপ্তর, এ ডি এফ, পরিবেশ দপ্তর, বনদপ্তর ,বিডিও সহ ছয় দপ্তরের আধিকারিকের প্রতিনিধী দল।

জানা যায় নবদ্বীপ ব্লকের মায়াপুর – বামুনপুকুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইদ্রাকপুর গ্রামের আনুমানিক দশহাজার মানুষের বসবাস, তাদের স্বাস্থ্য সহ প্রায় সকল প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করতে হয় নবদ্বীপের ওপর, এমনকি এই নবদ্বীপে যোগাযোগের মাধ্যম ছিলো নৌকা পারাপার, অতীতে যা মাধাইপুর ঘাট থেকে ফেরি চলাচল করতো।

পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালে নবদ্বীপের বর্তমানে যুব আবাশের পার্শ্ববর্তী এলাকায় তৈরী হয় একটি মাটির কাঁচা বাঁধ, যা সংযোগ স্থাপন করে ইদ্রাকপুর গ্রামের সাথে তথা নবদ্বীপের সাথে। যা বর্তমানে ইদ্রাকপুর বাঁধ নামেও পরিচিত।

সুত্র মারফত আরও জানা যায় গ্রামের পড়ুয়া সহ সকলেই যোগাযোগ মাধ্যমেের একটা স্থায়ী সমাধান চেয়ে আসছিলো দীর্ঘদিন ধরেই।

আর মঙ্গলবার দুপুরে সেই বাঁধ পরিদর্শনে আসেন পূর্ব বর্ধমান জেলার এ ডি এফ ও সোমনাথ চৌধুরী, জেলার পরিবেশ দপ্তরের আধিকারিক অরূপ কুমার মাঝি, কাটোয়া বনদপ্তর এর আধিকারিক শিবপ্রসাদ সিনহা,বিডিও পৌষালী চক্রবর্তী সহ আরো অনেকে.।

সেখানেই পরিদর্নে আশা আধিকারিকেরা জানায় এই
বাঁধ দেয়ার ফলে অনেকটাই সমস্যায় পরতে হয়েছে পূর্বস্থলী চুপি এলাকার মাঝিদের, পাশাপাশি তারা আরও বলেন এই বাঁধ টা দেবার আগে সমগ্র এলাকায় গঙ্গার সাথে সরাসরি যোগাযোগ ছিলো, এখন যা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, ফলে জলে অনেকসময় পচনও ধরছে, পাটের সময় পাট পচানোর ফলে জলে ছড়াচ্ছে দূর্গন্ধও, যার ফলে পরিযায়ী পাখিরা এসে নিজেদের খাবাও ঠিকমতো পাচ্ছে না, ফলে আগের অবস্থান হারিয়ে যেতে বসেছে চুপির।

তাই এদিন প্রথমে চুপির পাখিরালয় একটি বৈঠক ও পরবর্তী সময়ে এই বাঁধ পরিদর্শনে আসা।