সরকারি ভরসায় না থেকে, নিজেরাই নিজেদের ব্যবস্থা করল গ্রামবাসীরা।

0
46

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  সরকারি ভরসায় না থেকে নিজেদের প্রয়োজনীয়তায় নিজেরাই ব্রিজ সারাই করল। কথায় আছে প্রশাসনের ১৮ মাসে বছর। তাই সরকারের আশায় বসে না থেকে এলাকাবাসী নিজেদের সুবিধার্থে ব্রিজ মেরামতের কাজে হাত লাগাল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকের অন্তর্গত কেশাপাট গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতিশাল এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল অবস্থা কাঠের ব্রিজের। বারবার স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রশাসন ও ব্লক প্রশাসনকে জানিয়ে কাজ হয়নি। ফলত ভাঙা কাঠের ব্রিজ দিয়েই সাধারণ মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তাই এবার সাধারণ মানুষ সরকার বা প্রশাসনের আশায় বসে না থেকে নিজেরাই ব্রিজ সারাইয়ের উদ্যোগ নিল। পাঁশকুড়া ব্লকের কেশাপাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হাতিশাল এলাকার ওই কাঠের ব্রিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিজ পার হয়েই যেতে হয় হাতিশাল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাতিশাল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, হাতিশাল প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে তিনটে স্কুলের বহু ছাত্র ছাত্রী ওই কাঠের ব্রিজ দিয়েই যাতায়াত করে। ২ জানুয়ারি নতুন শিক্ষা বর্ষের পঠন-পাঠনের জন্য স্কুল খুলেছে এদিন থেকেই। এর পাশাপাশি আশে পাশে তিনটি গ্রামের মানুষ যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই কাঠের ব্রিজটি। এর পাশাপাশি ওই এলাকার ফুল চাষিরাও ফুল নিয়ে বাজারে যাতায়াত করার সময় এই ব্রিজ পার হতে হয়। জল নিকাশি খালের উপর এই গুরুত্বপূর্ণ কাঠের ব্রিজটি দীর্ঘদিন ভগ্ন অবস্থায়। এই ব্রিজ এড়িয়ে যেতে হলে সাধারণ মানুষকে অনেক টাই ঘুরে যেতে হয়। তাই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত এই ব্রিজ দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ জন ও ছাত্র-ছাত্রী পারাপার হয়। ভগ্ন প্রায় কাঠের ব্রিজ দিয়ে যাতায়াতের সময় একাধিক বার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকারর সাধারণ মানুষ।
৩ দিন আগে ওই ভগ্নপ্রায় কাঠের ব্রিজ দিয়ে যাওয়ার সময় এক ব্যক্তি ব্রিজ থেকে পড়ে আশঙ্কা জনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। সম্প্রতি অতীতে ব্রিজ থেকে পড়ে মৃত্যুও হয়েছ এক ব্যক্তির। সদ্য স্কুল খুলেছে তাই এলাকাবাসীর এই ব্রিজ নিয়ে চিন্তা আরও বেড়েছে। বারবার প্রশাসনের কাছে গিয়েও কাজ না হওয়ায় এবার কথা নিজেরাই কাঠের ব্রিজটি মেরামতি করে। এলাকাবাসীরা জানাই এই জায়গায় কংক্রিট ব্রীজ নির্মাণ হওয়ার কথা বহু বছর ধরে শুনে আসছে। কিন্তু কংক্রিটের ব্রীজ দূরে থাক কাঠের ব্রিজটাও মেরামত করেনি প্রশাসন।