নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুর : – এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ লোকটা আগে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঠেলা লাগিয়ে এগরোল বিক্রি করতেন। সেই সুজিত বসু রাতারাতি কি ভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেলেন, সেটা তো মানুষের জানা দরকার। আজ বালুরঘাটে সংবাদ মধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে দমকলমন্ত্রী ও তৃনমুলের অনান্য বিধায়ক ও নেতার বাডিতে ই ডির হানার প্রসংগে এক প্রশ্নের উত্তরে এই কথা বলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।পাশাপাশি তার দাবি আমার কাছে খবর আছে পুর দুর্নীতি করে তিনি তার দুই শ্যালিকার চাকরির পাশাপাশি ওই দুই পরিবারকে একাধিক সুবিধে পাইয়ে দিয়েছেন। ইডি আজ নির্দিষ্ট ইনফরমেশনের পরিপ্রেক্ষিতেই নিশ্চই আজ তদন্তে গিয়েছে ইডি।তিনি আরো স্মরন করিয়ে দেন তদন্তটা চলছে আদালতের নির্দেশে, তাই রাজ্যের মানুষের পাশাপাশি আমরাও চাই সত্যটা সামনে আসুক।জানার অধিকার সবার আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এরপাশাপাশি রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকউল্লা চৌধুরীর চাকরি নিয়ে করা এক মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত বলেন, এক সময় উনি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরোধীতা করতেন পরে মন্ত্রীত্বের উপঢৌকন পেয়ে এখন মমতা ভজা বনে গেছেন। সুকান্তর আরো অভিযোগ আমরাও চাই বেকার শিক্ষিত যুবক যুবতীরা চাকরি পাক। তবে সে ক্ষেত্রে এ রাজ্যে একমাত্র বাধা দুর্নীতি।এ নিয়ে কেন মুখ খুলছেন না মন্ত্রী। সুকান্ত বাবু উলটে প্রশ্ন তুলে বলেন মন্ত্রী চৌধুরী কি পার্থর বান্ধবির বাড়ির থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার ব্যাপারে কিছু বললেন না কেন? কেন বলছেন না এ রাজ্যে একেক ক্ষেত্রে চাকরি বিক্রির রেট চার্টে থাকা টাকার অংকের কথার কি হিসেব দেবেন মন্ত্রী মশাই ? আগে দিন তারপর এসব ছেদো কথা বললে ভাল হয়, বলে মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত।
অন্যদিকে ভাংগড়কে কলকাতা পুলিশের আওতায় নিয়ে আসার উদ্দেশ্যই হলো সেখানে তৃনমুলের বিরোধী আই এস এফ এর বিধায়ককে সবক শেখানে। যা এই গনতন্ত্র ধ্বংস করা তৃনমুল সব বিরোধী দলের ক্ষেত্রে করে থাকে। সেটা করার জন্য কলকাতা পুলিশের আওতায় ভাংগড়কে আনা বলে সুকান্ত মন্তব্য করেন পাশাপাশি তারদাবি এলাকার মানুষ শাসককে এর যোগ্য জবাব দেবে বলেই তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে পানিহাটিতে পুরসভার বার্ষিক অনুষ্ঠানেভ কাউন্সিলরদের মদের গ্লাস নিয়ে নাচানাচি প্রসংগে এক প্রশ্নের উত্তরে বলতে গিয়ে সুকান্ত বলেন মদ আর তৃনমুল সমার্থক। তৃনমুল করবে আর মদ খাবে না, মদ নিয়ে নাচানাচি করবে না, তা কি কখনও হয়। এটাই তো বর্তমানে তৃনমুলের কালচার হয়ে দাড়িয়েছে যা আজ বাংলার সংষ্কৃতিকে ধ্বংসের মুখে এনে দাড় করিয়েছে এই তৃনমুল দল।তিনি জোরের সংগে দাবি করেন সন্ধে হলেই তৃনমুলের বড় থেকে ছোট ও চুনোপটি নেতারা মদের আসর জমাতে ভালবাসে, বলে তিনি মন্তব্য করেন।