ইন্টারনেটে সেক্সটরশনে স্ক্যামে মেয়েদের থেকে ছেলেরাই বেশি জালিয়াতির শিকার হয়, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সেমিনারে এই কথাই উঠে এল এদিন।

0
123

আবদুল হাই,বাঁকুড়া:-  ইন্টারনেটে সেক্সটরশনে স্ক্যামে মেয়েদের থেকে ছেলেরাই বেশি জালিয়াতির শিকার হয়, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সেমিনারে এই কথাই উঠে এল এদিন। একটি সুন্দর ছবি লাগানো প্রোফাইল থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করার পর হঠাৎ করে ভিডিও কল। কলের ওপার থেকে আপনার উন্মুক্ত ছবি বা ভিডিও চেয়ে অশালীন আবদার। আবেগঘন হয়ে সেই আবদারের জালে পা দিলেই আপনার ছবি বা ভিডিও পৌঁছে যাচ্ছে দুর্বৃত্তদের কাছে,ব্যাস তারপর শুরু হবে ব্ল্যাকমেইল করা। মুখ রক্ষার কথা ভেবে ধ্বংস হয়ে যাবে মানসিক শান্তি। চাপে পড়ে নষ্ট হবে অর্থ। এটাকেই বলে “সেক্সটরশন”। ইন্টারনেটের যুগে নানা বিধ স্ক্যাম থেকে কিভাবে নিজেদের রক্ষ্যা করা যায় তাই নিয়ে বাঁকুড়া সাইবার থানার তরফ থেকে বাঁকুড়া বিশ্ব বিদ্যালয়ে যুবক যুবতীদের বিশেষ পাঠ। উঠে এল সেক্সটরশন, যৌণতাকে ব্যাবহার করে ব্ল্যাকমেইল করে পকেট খালি করে দেওয়ার জালিয়াতি।
বাঁকুড়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গৌতম বুদ্ধ সুরাল জানান, “বাঁকুড়া জেলা পুলিশের সাইবার ব্রাঞ্চের তরফ থেকে বাঁকুড়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে একটি বিশেষ সচেতনতা মূলক সেমিনারের অনুরোধ আসে, সেই প্রস্তাব আমরা তৎক্ষণাৎ গ্রহণ করি। সাইবার সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।”
সামাজিক মাধ্যমে অজানা ব্যাক্তির বন্ধুত্বের বাড়ানো হাত এড়িয়ে চলতে হবে, না জেনে বুঝে যেকোনও লিংকে ক্লিক করা যাবে না, লোভে পড়ে টাকা গ্রহণ করার জন্য নিজের উপিয়াই দিয়ে অন্যের পাঠান স্ক্যানারে স্ক্যান করা যাবে না। এছাড়াও বহু ডিজিটাল স্ক্যাম নিয়ে কথা বলা হল এদিন। বাঁকুড়া সাইবার থানা থেকে উপস্থিত ছিলেন দুই আধিকারিক।
যুব সমাজ বুঝলেই, বুঝবে তাঁদের পরিবার। ইন্টারনেটের অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুর্বৃত্তরাও নিয়ে আসছে স্ক্যাম করবার নিত্য নতুন পদ্ধতি। সেই কারণেই বাঁকুড়া বিশ্ব বিদ্যালয়কে নিয়ে জেলা সাইবার পুলিশের এই উদ্যোগ।