নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:- মহানন্দা নদী থেকে যুবকের গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই অবশেষে মৃতদেহের পরিচয় পাওয়া গেল। জানা গেছে মৃত যুবকের নাম সেন্টু রায় (৩৬), বাড়ি পুরাতন মালদা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাচ্চামারি মন্ডল পাড়ায়। পেশায় একজন টোটো চালক। ঘটনার জেরে শোকের ছায়া পরিবার বর্গে। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে মালদা থানায় অভিযোগ দায়ের। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই গতকাল রাতেই এলাকারই তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ। পরিবারকে সমবেদনা জানাতে শনিবার সকালে বাড়িতে যান সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শত্রুঘ্ন সিংহ বর্মা।
উল্লেখ্য, গতকাল সাতসকালে মালদা শহরের গয়েশপুর মহানন্দা নদীর ঘাট থেকে গলাকাটা অবস্থায় এক যুবকের মৃতদেহ ভাসতে দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও পরবর্তীতে পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রচারিত খবর দেখে সনাক্ত করেন মৃত ব্যক্তি তাদের পরিবারেই একজন সদস্য। তৎক্ষণাৎ মালদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই পুলিশ তদন্ত নেমে রাতেই এলাকা থেকে তিনজন যুবককে সন্দেহভাজন হিসাবে আটক করে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবক নেশা করত এবং মাঝেমধ্যেই রাতে দেরি করে বাড়ি ফিরতো। গত বৃহস্পতিবার রাতে চা খাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হলে বাড়িতে আর ফিরে আসেনি। এদিকে জানা গেছে, চলতি মাসের সাত দিন আগে প্রতিবেশীদের সাথে বচসা হয় যার ফলে মৃত যুবককে মারধর করা হয়েছিল। তবে পরিবারের দাবি সেই বচসার জেরেই কি এই খুন! না এর পিছনে অন্য কোন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। যদিও পুরোপুরি ঘটনার তদন্তে নেমেছে মালদা থানার পুলিশ এবং ইতিমধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।