দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- সোমবার বেলা আড়াইটা নাগাদ বালুরঘাট-বাঙালিপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রশাসনের প্রতিশ্রুতির পরও শ্মশান নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না হওয়ায়। অবশেষে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পথ অবরোধ করেন বাসিন্দারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বেশ কিছুদিন ধরে শ্মশানের জায়গা নিয়ে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা। গত 2019 সালে এই শ্মশানের জায়গা হাত বদল হওয়ার ফলে তা স্থানীয় ব্যবসায়িক ইন্দ্রজিৎ লাহা ওরফে লালুর হাতে চলে যায়। আর এরপর থেকেই যাবতীয় সমস্যার শুরু বলে দাবি করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের। তারা জানান, দীর্ঘ ৭০-৮০ বছর ধরে এই এলাকায় শ্মশান অবস্থিত। এখানে পার্শ্ববর্তী মানিকো, চকমানিকো, পোড়াহার, মাতাইশ, রঘুরামপুর, ফজলাপুর সহ প্রায় আটটি গ্রামের বাসিন্দারা মৃতদেহ সৎকার করেন এই মাতাইশ শ্মশানে। কিন্তু হঠাৎই সেই শ্মশানের জায়গা হস্তান্তরের পর সেখানে সৎকারের ক্ষেত্রে বাধা দেয় স্থানীয় ব্যবসায়িক ইন্দ্রজিৎ লাহা ওরফে লালু লাহা। এরপর আজ দুই পক্ষকে মিলিয়ে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি বলে দাবি করেন বাসিন্দারা। এরপরই
মাদাইশ এলাকায় বিক্ষুব্ধ জনতা বালুরঘাট-বাঙালিপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় হিলি থানার পুলিশ। পুলিশের প্রতিশ্রুতি ও সহযোগিতায় অবশেষে পথ অবরোধ তুলে নেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।পাশাপাশি তারা দাবি করেন,
অবিলম্বে তাদের দাবি পূরণ না হলে তারা বৃহত্তরের আন্দোলনে নামবেন।
অন্যদিকে জমির মালিক লালুলাহার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান বিষয়টি কোটের বিচারাধীন। তাই কোর্টের মাধ্যমে যা সিদ্ধান্ত হবে তা মাথা পেতে নেব। অন্যদিকে জমির আরেক মালিক তথা লালু লাহার ছেলে তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান বিষয়টি যেহেতু বিচারাধীন তাই এ বিষয়ে বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হবে।