মাংস কিনতে তো বটেই সাত ফুট লম্বা ১০৫ কেজি ওজনের খাসি দেখতে ভিড় শান্তিপুর রেল বাজারে।

0
83

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে হাট বাজার সহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় মানুষজনের সাতটার সকাল হচ্ছে নটায়। তবে নদীয়ার শান্তিপুর রেলবাজারে আসরত আলী শেখের দোকানে ব্যতিক্রম আজ। খাসির মাংস কিনতে ভীড় সকাল ৭ টা থেকেই। কারণ পয়সা দিলেও এত বড় প্রায় চর্বি বিহীন ছাগলের মাংস পাওয়া দুষ্কর। বাইগাছি পাড়ার বাসিন্দা পরিতোষ শীলদের মতো অনেকেই প্রায় ৫০ বছর ধরে এই রেল বাজারেই বাজার করে থাকেন, খাসির মাংসের দোকান ৩-৪ টা থাকলেও ১০-১৫, ২০ কেজির বেশি ওজনের ছাগলের মাংস কখনো বিক্রি করতে দেখেননি, তবে আজ ১০৫ কেজি। ছোটখাটো একটি গাধা অথবা ঘোড়ার আকৃতি যা দেখতে এবং কিনতে সাত সকালেই ভিড় জমে যায় রেল বাজারে। পরিতোষ বাবুর অনুমান বাজারের প্রায় সকল দোকানদাররা কিছুটা করে মাংস নেওয়ার আগ্রহী তাই আগেভাগে আসা।
অন্যদিকে বিক্রেতা আসরাত আলী শেখ জানাচ্ছেন, এই বাজারে তার জামাইবাবুর দোকান থাকাকালীন প্রায় কুড়ি বছর এবং তিনি নিজে ৩২ বছর দোকান চালাচ্ছেন কোনদিনই এত বড় ছাগল কিনতে পারেননি কারণ দেশি ছাগল যা হয় সবই 15-20 kg। এটা মূলত পাটনাই ছাগল এর বাচ্চা এনে ভালুকা এলাকায় এক ব্যক্তি বড় করে তুলেছিলেন। একটু বেশি দিয়ে তিনি কিনেছেন ক্রেতাদের খুশি করতে, তবে কিনতে ছাগল বেচতে পাগল হলেও বিক্রি করবেন বাজার চলতি দাম অনুযায়ীই।
তবে প্রায় সাত ফুট লম্বা এই ছাগল টাঙ্গিয়ে ছাল ছাড়ানো কিংবা মাংস কাটার ক্ষেত্রে পাশাপাশি মাংসের দোকানীরাও তাকে সহযোগিতা করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।