রাম মন্দির উদ্বোধনে অরাজনৈতিকভাবে সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাস! সুবিশাল রাম মন্দির তৈরি করে শোভাযাত্রা করবে শান্তিপুরের হরিপুরবাসী।

0
65

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-   আগামী ২২শে জানুয়ারি সেই চির প্রতিখিত রাম মন্দিরের উদ্বোধন । প্রায় ৫০০ বছর বাদে আবারো রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হওয়ার কারণে উচ্ছ্বাসিত সকল ভারতীয় সনাতনীরা। অযোধ্যায় রাম মন্দির স্থাপন উপলক্ষে বছর ভোর চলছে নানান আয়োজন। রাম মন্দির ট্রাস্ট ,রাষ্ট্রীয় স্বয়ংবর সেবক, হিন্দু মহাসভা সহ নানান ধর্মীয় সংগঠন যেমন প্রচারে নেমেছে তেমনি বিজেপির বিভিন্ন শাখা সংগঠন থেকে শুরু করে সাধারণ অরাজনৈতিক মানুষও এই উচ্ছ্বাসে সামিল হয়েছেন। বাড়ি বাড়ি প্রসাদী চাল বিতরণ থেকে শুরু করে, বাড়ির মহিলাদের ঐদিন সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালানোর বার্তা দেওয়া, পুজো চলাকালী বিভিন্ন এলাকায় ভগবত গীতা পাঠ কীর্তন রাম নাম সহ হোম যজ্ঞ নানান ধর্মীয় উপাচার চলবে বলেই জানা গেছে। তবে সাধারণ মানুষেরও উচ্ছ্বাস কম নয়, তারাও জানাচ্ছেন রাজনীতি সারা বছর কিন্তু রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা ৫০০ বছর বাদে এই প্রথম।
আজ নদীয়ার শান্তিপুরে এইরকমই অরাজনৈতিক ভাবে উচ্ছ্বাসের চিত্র ধরা পরল আমাদের ক্যামেরায়। শহরের শেষ প্রান্তে হরিপুর এবং বাগআঁচড়া পঞ্চায়েতের সংযোগস্থলে হরপ্রসাদ স্মৃতিকলোনির ৮ থেকে ৮০ সকলেই রাম মন্দির তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছেন। এলাকার যুবক কাকন হালদার জানাচ্ছেন, মহিলা হোক বা পুরুষ কিশোর কিংবা যুবক কিংবা বৃদ্ধ যে যার কাজ সেরে সন্ধ্যায় একত্রিত হন পাড়ার ক্লাবে সেখানে সকলেই হাতে হাত লাগান। যদিও পীযূষ সরকার নামে এলাকার যুবক মূল এই কাজের দায়িত্ব রয়েছে। আর তাকেই সহযোগিতা করছে সবাই এক্ষেত্রে রাজনীতি বহির্ভুতভাবে তাদের এই সমবেত প্রচেষ্টা যেহেতু রাম মন্দির উদ্বোধন হচ্ছে তাই খুশি তারাও।
প্রায় ৭০-৮০ টি থার্মোকল দিয়ে এক মাস ধরে এভাবেই বাড়ানো চলছে রাম মন্দির আজ চূড়ান্ত পর্যায়ের রং করার কাজ শেষ হলো এরপর ভগবান রামের শিশু অবস্থা অর্থাৎ রামলালার ছবি বসানো হলেই সমাপ্ত হবে।
নদিয়া দক্ষিণ রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সদস্য কমল বিশ্বাস জানাচ্ছেন, আগামী ২২ তারিখ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তারা নিয়েছেন নানান কর্মসূচি। একদিকে এলাকায় যেমন শিশু কিশোররা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে তেমনি বড়রা শোভাযাত্রা করবে এই রাম মন্দির কাঁধে তুলে নিয়ে, থাকবে আরো নানান ধর্মীয় ট্যাবলো, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সাথে মহিলা দের উলু এবং শঙ্খ ধ্বনি। সমগ্র এলাকা পরিক্রমণ করবে তারা।
শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী জানাচ্ছেন এই সৌভাগ্য সকল সনাতন ধর্মালম্বী মানুষের. একসময় যারা এই রাম মন্দির গড়ার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন আজ তাদের জন্যই এই সুদিন এসেছে তাই সাধারণ মানুষের উচ্ছাস আবেগ অনেকটাই বেশি। আগামী ২২ তারিখে এলাকায় এলাকায় অযোধ্যা এবং ঘরে ঘরে রাম পূজো হতে চলেছে। ফুলিয়া সহ সমগ্র শান্তিপুরে শুধু নয় সারা ভারতবর্ষ জুড়ে এমনকি ভারতের বাইরেও সনাতনদের নানান উদ্যোগ চোখে পড়ছে ইতিমধ্যেই।