নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ২৪জানুয়ারী ২০২৪, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের বিএসএফ জওয়ানরা ভারত -বাংলাদেশ সীমান্তে তাদের অবিরাম প্রচেষ্টায় সোনা চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করে। এই প্রসঙ্গে,৩২ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি বিজয়পুরের সতর্ক বিএসএফ জওয়ানরা নিদিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে একটি সুপরিকল্পিত অভিযান চালায় । নদীয়া জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তে সোনা চোরাচালান বানচাল করে এবং ১৯ টি সোনার বিস্কুট সহ এক চোরাকারবারীকে গ্রেপ্তার (বিস্কুট এবং একটি সোনার ইট) করে । চোরাকারবারিরা সোনার বিস্কুট ও একটি সোনার ইট বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিল বলে জানা যায়। উদ্ধার করা সোনার ওজন ৩.৫৬ কেজি এবং আনুমানিক বাজার মূল্য ২,১৯,৬১,২০০/- টাকা।
বিএসএফ-এর দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২৩ জানুয়ারী, বিজয়পুর সীমান্ত চৌকির সতর্ক বিএসএফ জওয়ানরা বিশ্বস্ত সূত্র থেকে সোনা চোরাচালানের বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পান। তারপর জওয়ানরা আন্তর্জাতিক সীমান্তের এক কিলোমিটার পিছনে অ্যাম্বুশ স্থাপন করে। এরপর বিএসএফ কর্মীরা একটি সাইকেলে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আসতে দেখেন। অ্যামবুশে পৌঁছতেই জওয়ানরা তাকে ধরে ফেলে। তল্লাশি করে তার কোমরে বাঁধা একটি কাপড়ের বেল্ট থেকে ১৯টি সোনার বিস্কুট ও ১টি সোনার ইট উদ্ধার করা হয়। এর পরে, জওয়ানরা পাচারকারীকে হেফাজতে নিয়ে সোনা বাজেয়াপ্ত করে।
গ্রেফতার ওই চোরাকারবারীর নাম মিঠুন বিশ্বাস, তার বাড়ি সীমান্তবর্তী এলাকার বিজয় নগর।
গ্রেফতার চোরাকারবারিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে গত কয়েকদিন ধরে সোনা চোরাচালানের সাথে জড়িত ছিল। তিনি আরও জানান, তিনি বিজয়পুর গ্রামে বসবাসকারী দুই ব্যক্তির কাজ করেন। আজ তার সাথে আরো দুই সহকর্মী লাইনম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি জানান, বাংলাদেশের নাস্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা শিন্তো মণ্ডলের কাছ থেকে তিনি এসব জিনিস নিয়েছিলেন। আর তাকে এই সোনা গ্রামের অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করার পথে তাকে সোনাসহ ধরে ফেলে বিএসএফ।