নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুর, বালুরঘাট, ২৪ জানুয়ারি:- আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত নয়, এমন প্রচুর মানুষকে তপশিলি উপজাতি শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলে বালুরঘাটে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন একাধিক আদিবাসী সংগঠনের সদস্য, ছাত্র-ছাত্রী ও কৃষকরা। বুধবার পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির তরফে জেলা শাসককে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র বাতিলের দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। তার আগে আর্য সমিতি এলাকায় জমায়েত হয়ে শতাধিক আদিবাসী মানুষ পুরো শহর পরিক্রমা করেন। ডেপুটেশন দেওয়ার আগে জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে পথ অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভে সামিল হন তারা।
এদিন আদিবাসী সম্প্রদায়ের তরফে অভিযোগ তোলা হয় বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মানুষ একাধিক কৌশল অবলম্বন করে তপশিলি উপজাতির শংসাপত্র বের করছেন এবং তারা সংরক্ষণের সুবিধা ভোগ করছেন। অন্যদিকে, প্রকৃত আদিবাসীরা বঞ্চিত হচ্ছে। যার জেরে তারা সেসব ভুয়ো শংসাপত্র বাতিলের দাবিতে একত্রিত হয়ে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন। এমনকি কুরমি জাতিকে এসটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে যাবে না বলে দাবি তোলেন। সেন, মজুমদার, সাহা, দত্ত, ঘোষ সহ একাধিক পদবীধারী ব্যক্তিরা তপশিলি উপজাতি শংসাপত্র পেয়েছেন বলে তারা অভিযোগ করেন। এদিন তারা বালুরঘাটে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে রাস্তায় মাদল, তাসা সহযোগে ব্যানার হাতে তাদের দাবি নিয়ে সোচ্চার হন। আদিবাসী মহিলারা কার্যত রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে তাদের মধ্যে থেকে প্রতিনিধি দল গিয়ে জেলা শাসকের দপ্তরে তাদের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা করেন। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে বালুঘাট থানার তরফে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা ছিল এলাকায়।
সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ দুলাল সোরেন বলেন, ‘ভুয়ো শংসাপত্র পেয়েছে এমন ছয় জনের নাম পেয়েছি। সেটিও এদিন ডেপুটেশনের সঙ্গে জমা দিয়েছি। সমস্ত শংসাপত্র বাতিল না করলে আমরা আগামীতে জেলা সহ রাজ্যে অবরোধ গড়ে তুলব। কারণ এর জেরে প্রকৃত আদিবাসীরা ভুক্তভোগী হচ্ছেন। তাছাড়াও, বিভিন্ন আদিবাসী হোস্টেল বন্ধ হয়ে আছে, পড়ুয়ারা স্টাইপেন্ড নিয়মিত পাচ্ছে না। এসবের বিরুদ্ধেও দাবি জানিয়েছি।’