নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- চাকদা বাসস্ট্যান্ডে ভয়াবহ আগুন। আগুনে ভষ্মিভূত দুটি দোকান। সর্বস্ব মুহূর্তে শেষ। বুধবার ভোর পাঁচটায় চাকদা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন পরপর দুটি পান বিড়ি সিগারেটের ভ্যারাইটি দোকানে, ভয়াবহ আগুন লাগে ।ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় দমকলের একটি ইঞ্জিন। দমকল কর্মীদের প্রচেস্টায় ৩০ মিনিট পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে দুটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ইলেকট্রিকের শর্ট সার্কিট থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন 15 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোমা হালদার, চাকদা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিশ্বনাথ দে হালদার এছাড়াও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অধ্যাপক স্বপন গুপ্ত সহ চাকদা থানার পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা। পনের নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোমা হালদার বলেন, দুটি দোকান পুড়ে সর্বস্ব শেষ হয়ে গেছে ,প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছি। চাকদা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিশ্বনাথ দে হালদার বলেন ,চাকদা বাজারে যত্রতত্র ইলেকট্রিকের তার বিভিন্ন পোস্টে জড় হয়ে আছে সেগুলোকে নজর দেওয়া দরকার ইলেকট্রিক সাপ্লাই য়ের ।আজ যে দুটি দোকানে আগুন লেগেছে সেটা ইলেকট্রিকের শর্ট সার্কিট থেকে হয়েছে ,তাই ইলেকট্রিক সাপ্লাই এর কাছে অনুরোধ বিষয়টিকে নজর দিয়ে সমাধান করুন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে চাকদা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ফুটপাতে দুটি দোকানে আগুন লেগেছে, একটির মালিক দীপ্তি পাল অপর দোকানের মালিক খোকন সাহা। এদের দুজনেরই লক্ষাধিক টাকার মাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দোকানদার দীপ্তি পাল বলেন এই দোকান থেকেই আমাদের সংসার চলে, ঘুম থেকে ওঠার আগে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল সব ।আমাদের পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নেই ।অন্যদিকে দোকানদার খোকন সাহা বলেন ৫০ বছর ধরে এখানে দোকান করে খাই ,দোকানের দুটি ফ্রিজ ক্যাডবেরি আসবাবপত্র সমস্ত কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ।রাতারাতি পথে বসে পড়লাম। যদি সরকারিভাবে কোন সাহায্য পাই তাহলে হয়তো বেঁচে থাকতে পারবো না হলে বেঁচে থাকার উপায় নেই। সাতসকালে ভয়াবহ আগুনে চাকদা শহরের ঘুম ভেঙেছে ।স্থানীয় মানুষরা বলেছে অটো চালকরা যদি প্রথম অবস্থায় খবর না দিত তাহলে আরো ভয়াবহ হত পরিস্থিতি। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাকদা থানার পুলিশ।