মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান পুর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান অনুষ্ঠিত হলো শহর বর্ধমানের গোদার ময়দানে।

0
59

পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান পুর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান অনুষ্ঠিত হলো শহর বর্ধমানের গোদার ময়দানে।
উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, মন্ত্রী মলয় ঘটক, মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, সাংসদ সুনীল মন্ডল সহ পুর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের সরকারী আধিকারিকরা সহ বিধায়ক গণ, দুই জেলার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষগণ সহ আরও অন্যান্য অনেকে।
মঞ্চে উপস্থিত হয়ে একাধিক প্রকল্পের সুবিধা তুলে দেন উপভোক্তাদের হাতে মমতা বন্দোপাধ্যায়।
মঞ্চ থেকে ৪৯১ টা প্রকল্পের সুবিধা তুলে দেন প্রাপকদের হাতে।
যেইসমস্ত প্রকল্পগুলির সুবিধা প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তার মধ্যে ছিল সাস্থ্য সাথী প্রকল্প, কন্যাশ্রী, চোখের আলো, জয় জোহর, সবুজ শ্রী, কৃষি পাট্টা, ফরেস্ট পাট্টা, উদ্বাস্তু পুনর্বাসন পাট্টা , ধামসা মাদল, ঐকশ্রি, লক্ষীর ভান্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ড, সবুজ সাথী, রুপশ্রি, ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্রপাতি, কৃষক বন্ধু, মৎস্য চাষীদের গৃহ নির্মাণ, বিনা মূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ঋণ, কৃষি পরিকাঠামো তহবিল, বিধবা ভাতা, খাদ্য সাথী, তপসিলি বন্ধু সুবিধা সহ আরও অন্যান্য প্রকল্প।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চ থেকে বলেন, “শিক্ষকের পদ আমাদের প্রস্তুত আছে। আমরা শিক্ষক নেব”। তবে এদিন তিনি আদালতের উদ্দেশ্য আবেদন রাখেন শূন্যপদ পূরণের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। তিনি বলেন, “সিপিএম, বিজেপি এরা আটকে রেখে দিয়েছে। শূন্য পদ পূরণ হলে হাজার হাজার ছেলে মেয়ে চাকরি পাবে। আমি দুঃখিত কখনো কখনো সরকারের হাত-পা বেঁধে রাখা হয়। আমি বিচারপতির বিরুদ্ধে নয় কিন্তু রায়ের বিরুদ্ধে বলা যায়। আমি আদালত কে সম্মান করি। আমি আবেদন করছি শূন্য পদ পূরণের ব্যবস্থা করে দিন।
প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে একের পর এক কর্মরত শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। শুধু তাই নয়, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে একাধিক কর্তা কেন্দ্রীয় সংস্থার হেফাজতে রয়েছেন।
রাজ্যের বিরোধী দল সহ একাধিক রাজনৈতিক দল সরব হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে। নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডের পর থেকে রাজ্য নতুন করে নিয়োগের পথে না এগলেও প্রাথমিকের টেট নিয়েছে। তবে সেই টেট নেওয়া হলেও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া ও থমকে রয়েছে।
তাই এদিনের বর্ধমান প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা নিয়ে ফের জল্পনা বাড়ালো বলেই মনে করা হচ্ছে। বর্ধমান গোদার ময়দান থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ও বেশি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় সরকারকে ঠুঁটো জগন্নাথ বলে তীব্র কটাক্ষ করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, “বলে বেড়াচ্ছে ঘর ঘর জল দিচ্ছে, আর কাজ করছে রাজ্য সরকার। মাছের তেলে মাছ ভাজাই হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ। জিএসটির নামে সব পয়সা বাংলা থেকে নিয়ে চলে যাচ্ছে। এরপর থেকে দেখবেন নকুল দানা কিনতে গেলে সেটাতেও জিএসটি লাগবে। ঝুটা বাতানেসে কুছ নহি হোগা। বিনা পয়সার চাল হাজার টাকার গ্যাসে ফুটছে”।
মমতা তফসিলি আদিবাসী সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষজনদের উদ্দেশ্যে বলেন, তপসিলি আদিবাসী বন্ধুরা ২০ লক্ষ টাকা লোন পেতে পারে পড়াশোনার জন্য।
ওবিসির সব টাকা কেন্দ্র বন্ধ করে দিলেও আমরা বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় তাদের এনেছি।