কৃষকের চাষের জমির সামনে দখলে থাকা সরকারি পিডব্লিউডির জায়গায় বসতি স্থাপন করিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ স্থানীয় এক তৃণমূল নেতৃত্ব এবং পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  কৃষকের চাষের জমির সামনে দখলদারিতে থাকা রাস্তার পাশের পি ডব্লু ডি র জায়গায় অর্থের বিনিময়ে বসতি স্থাপনের অভিযোগ তৃণমূল নেতৃত্ব এবং পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। নিজের জমিতে চাষ করতে যেতে হচ্ছে ঘুর পথে অন্যের জমির উপর দিয়ে। অবৈধ বসতি উচ্ছেদের জন্য কৃষক দারস্থ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের। যদিও কৃষকের তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য।
জটিল এই সমস্যাটি নদীয়ার শান্তিপুর হরিপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নসিংহপুর রোডে মেথির ডাঙ্গায়।
শান্তিপুর শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বসবাসকারী কৃষক সেলিম উদ্দিন গায়েনের অভিযোগ, তাদের বাড়ি শহর গ্রামের সংযোগস্থলে হলেও চাষাবাদ কিছুটা দূরে গ্রামীণ হলে এলাকায়। পূর্বে তাদের চাষের জমির সামনে তাদেরই দখলদারিতে থাকা রাস্তার পাশে পি ডব্লিউ ডি র জায়গায় ঘর বাড়ি করে পাশাপাশি চারটি পরিবার। যদিও প্রথম দিকে মানবিকতায় নিরাশ্রয়ীদের আশ্রয় দিয়েছেন। তবে কথা ছিলো উঠে যাওয়ার কিন্তু ওই এলাকার যুব তৃণমূল নেতৃত্ব বর্তমান পর্যায়েত সদস্য রুপম মান্না সে সময় অপর এক জন পঞ্চায়েত সদস্যা থাকলেও তিনি দেখভাল করতেন এবং অর্থের বিনিময়ে এই উচ্ছেদ বাধা দিয়েছিলেন, এমনকি সরকারি জমিতে গৃহ আবাস যোজনার গৃহনির্মাণে উদ্যত হয়, জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ও তাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে ওই পঞ্চায়েত সদস্য পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তাদের জমি পুনরুদ্ধার করতে বাধা প্রদান করছে। এমনকি ২০১৮ সালে সরকারি আবাস যোজনার গৃহ নির্মাণে উদ্যত হলে জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে বন্ধ করা হয়। সেই থেকে এখনো পর্যন্ত নিয়মিত অর্থ নিয়ে দলীয় নেতৃত্ব এবং পঞ্চায়েত সদস্যর প্রভাব খাটিয়ে পুলিশ প্রশাসন কে কাজে লাগিয়ে আমাকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে রুপম মান্না।
যদিও বসতি গড়ে তোলা জামেলা বিবি করুণা শেখ আশিয়া বিবিরা জানাচ্ছেন তারা কোনরূপ আর্থিক লেনদেন করেননি, গৃহহীন প্রান্তিক পরিবার হিসেবে অনেকেই রাস্তার পাশে রয়েছে তাদের নিয়ে পি ডব্লিউ ডি এখনো কোনো আপত্তি জানায়নি, তবে ওই কৃষকের জমি মেপে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে তারা শুধুমাত্র সরকারি অংশেই বসবাস করতে চান। সেলিম গাইন এবং তার ভাই ক্লাবের ছেলেদের নিয়ে এসে মাঝেমধ্যেই হুমকি দিয়ে যায় বেশ কয়েকবার মহিলাদের গায়েও হাত দিয়েছে।
অন্যদিকে তৃণমূল নেতৃত্ব এবং ওই পঞ্চায়েত সদস্য জানাচ্ছেন, তার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে এবং চক্রান্ত। তবে যেহেতু বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে তাই পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি খতিয়ে দেখার জন্য, সেলিম গাইন নিজেই পয়সা নিয়ে তার জমির সামনে বসতে দিয়েছিলো।
যদিও মহিলাদের মারধর প্রসঙ্গে সেলিম বাবু অস্বীকার করে বলেন, তাহলে সে সময় তাদের চিকিৎসার কাগজপত্র কিংবা অভিযোগপত্র থাকতো, সরকারি জমিতে বসবাস করে শৌচালয় পর্যন্ত মার্বেল টাইলস বসাচ্ছে, অথচ আমাদের নিজেদের জমিতে ঢুকতে পারছি না বসতি গড়ার কারণে, তবে স্থানীয় স্তরে পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে এরপর জেলা প্রশাসনের শরণাপন্ন হব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *