নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু বেহাল রাস্তার অবস্থার কোনদিনই সমাধান হয়নি, এবার মুখ্যমন্ত্রীর আগমনে জোর কদমে চলছে রাস্তা তৈরীর কাজ, বেজায় খুশি এলাকাবাসী।
একদিকে লোকসভা ভোট আসন্ন অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর আগমন, তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তার প্রশাসনিক সভাস্থল অদ্বৈত পৌর ক্রীড়াঙ্গনের পাশের দীর্ঘদিনের বেহাল গলি রাস্তা রাতারাতি হতে চলেছে পাকা। ঘটনাটি নদীয়া শান্তিপুর পুরো স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকার। স্টেডিয়ামের পেছনে সবুজ সংঘের মাঠে হতে চলেছে হেলিপ্যাড, আর সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী স্টেডিয়ামে ঢুকবেন এই গলিপথেই।
তবে যে কারণেই হোক অতীতে তৃণমূল বর্তমানে বিজেপি কাউন্সিলর কে জানিয়েও সুফল না মেলা এলাকাবাসী এখন বেজায় খুশি।
তারা জানাচ্ছেন, ঘুম থেকে উঠেই হঠাৎ নোংরা আবর্জনা জঞ্জাল ফেলা গলি পরিষ্কার হতে শুরু হয়েছে, গাড়ি গাড়ি ভাঙ্গা ইট পরছে, অনর্গল চলছে দুটি রোলার আর এভাবেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সাথে এগিয়ে চলেছে রাস্তার কাজ। শুধু তাই নয় বিজেপির হলেও শান্তিপুর এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহানন্দ বিশ্বাস নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করছেন, শত হোক মুখ্যমন্ত্রীর আগমন বলে কথা। তবে তিনি অবশ্য বলেন এই রাস্তা বর্তমান পুরসভার বোর্ড গঠন হওয়ার সময় থেকেই চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ তাকে রাস্তার মাপ জানতে চেয়েছিলেন, এবং সেই কাজ শুরু হয়েছে রুটিন মাফিক, তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী আসবেন একদিন কিন্তু সাধারণ মানুষ রাস্তা ব্যবহার করবেন সারা বছর। যেহেতু জনপ্রতিনিধি এবং মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে তাই সকাল থেকেই রয়েছি।
অন্যদিকে প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর এবং বর্তমান বিজেপি কাউন্সিলর কে দীর্ঘদিন যাবত বলেও পুরাহা না পেয়ে আজ হঠাৎ এই রাস্তা প্রস্তুতে এলাকাবাসীদের মধ্যে খুশির হাওয়া। তারা বলেন এক হাঁটু কাঁদার মধ্যে দিয়ে বাচ্চা ছেলেমেয়েরা সবুজ সংঘের মাঠে অনুশীলন করতে আসতে হতো। অন্যদিকে রামকৃষ্ণ কলোনী দু নম্বর রেলগেট এলাকার প্রায় ৫০টি পরিবারের প্রধান যাতায়াতের পথ জঞ্জালময় হয়ে থাকতো সবসময়। যে কারণেই হোক স্টেডিয়াম নির্মাণের পর থেকে এই দুর্ভোগের মুক্তি হলো আজ।