প্রান্তিক এলাকার শিশুদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে গঙ্গারামপুরে কচিকাঁচার আসরের উদ্যোগে আকার প্রতিযোগিতা।

0
116

দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- প্রান্তিক এলাকার শিশুদের সমাজে বিপথগামী থেকে সুপথগামী করার লক্ষে ওই এলাকার শিশুদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১০ নং বুরুজপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় শতাধিক শিশু ও ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে কচিকাঁচার আসর আর্ট ইনস্টিটিউটের তরফে একটি আঁকা প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল। উল্লেখ্য, গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড বুরুজপাড়া এলাকা একটি প্রান্তিক এলাকা। এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষই শ্রমজীবী। ফার ফলে ওই এলাকাতে শিক্ষার প্রসার খুব একটা ঘটেনি বললেও চলে, তাই আলোর দিশা দেখাতে ও বিপথগামী থেকে মুক্ত করার লক্ষে শিশুদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে ও বর্তমান সময়ে মোবাইলে আসক্ত প্রজন্মকে মুক্ত করতে গঙ্গারামপুরের সুপরিচিত আর্ট ইনস্টিটিউট কচিকাঁচার আসরের তরফে তথা তার কর্ণধার মানিক কুমার মাহাতোর উদ্যোগে শতাধিক শিশু ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আকার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের বঙ্গ জননী সংগঠনের জেলা সভাপতি দেবযানী দত্ত, পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের বুরুজপাড়ার কাউন্সিলর রিতা চক্রবর্তী, ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশুতোষ ধর, ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিখা হালদার, বুরুজপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার প্রতিষ্ঠাতা ও সমাজসেবী তপন দত্ত, স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়দেব হালদার, কর্ণদার মানিক কুমার মাহাতো সহ আরো বিশিষ্ট সমাজসেবী ও অভিভাবক ও এলাকার মানুষজন। এদিন এই অঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের হাতে শ্রীমদ্ভাগবত গীতা সহ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতিকৃতি তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি অঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সফলদের পুরস্কৃত করা হয়। এবিষয়ে কচিকাঁচার আসর আর্ট ইনস্টিটিউটের কর্নধার মানিক কুমার মহন্ত জানান,” মূলত, গঙ্গারামপুরের এই বুরুজপাড়া এলাকা একটি প্রান্তিক এলাকা এখানকার বেশিরভাগ মানুষই শ্রমজীবী, আর এই এলাকাতে সেই কারণে শিক্ষার প্রসারটা খুব কম। তাই সেই সব শিশুগুলি যাতে বিপথগামী না হয় এবং তারা যেন আলোর দিশাতে প্রসারিত হয় সেই লক্ষ্যে আমার ইনস্টিটিউট কচিকাঁচার আসরের উদ্যোগে এই আকার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান। যাতে করে আগামী দিনে এই আকার মধ্য দিয়ে প্রান্তিক এলাকার এই শিশু ও ছাত্রছাত্রীরা যাতে আলোর দিশায় প্রসারিত হয় সেই কারণেই আমাদের এই প্রয়াস”। এই দিন এই আঁকার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সকলের উপস্থিতি যেমন ছিল তার পাশাপাশি শিশু ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উন্মাদানও ছিল যথেষ্ট লক্ষণীয়।