আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবার গুলির কচিকাঁচাদের হাতে বই, শ্লেট, পেন্সিল সহ অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী শেখ বাপি।

0
67

আবদুল হাই,বাঁকুড়াঃ- ‘বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠুক শৈশব থেকেই, প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠুক আগামী প্রজন্ম’। এই লক্ষ্য নিয়েই আগামী ফেব্রুয়ারী মাস জুড়ে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবার গুলির কচিকাঁচাদের হাতে বই, শ্লেট, পেন্সিল সহ অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী শেখ বাপি। ওই কর্মসূচীর অঙ্গ হিসেবে মঙ্গলবার তালডাংরার হাড়মাসড়া সংলগ্ন লালডিহি গ্রামের শিশুদের হাতে বেশ কিছু শিক্ষা সামগ্রী তুলে দিলেন তিনি। একেবারে শুরুর দিনে এই কর্মসূচীতে সমাজসেবী শেখ বাপি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব রামমোহন সেনগুপ্ত, মন্টু ধীবর সহ অন্যান্যারা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বিগত লকডাউনের দিন গুলিতে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে সমাজসেবী শেখ বাপি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আর্থিকভাবে পিছিয়ে মানুষের খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া, জেলার ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে রক্ত সংকট মেটাতে রক্তদান কর্মসূচীর আয়োজন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সাধ্যমতো সাহায্যের পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে ঈদ-শারদোৎসব ও শীতের সময়েও প্রয়োজনীয় নতুন বস্ত্র উপহার দিয়ে তিনি মানুষের পাশে থেকেছেন। পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, নেশায় সমাজসেবী বাপির এবার এই শিশুদের হাত ধরে প্রতিটি মানুষকে শিক্ষার আলোর আলোকিত করার তাঁর এই উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলেই ওই এলাকার মানুষ জানিয়েছেন।

গ্রামবাসী শম্ভু রুইদাস শেখ বাপির এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বছরভর মানুষের পাশে থাকেন বাপি, এবার আমাদের পাড়ায় এসে শিশুদের স্কুলমুখী করতে বই, শ্লেট, পেন্সিল দিয়ে সাহায্য করলেন। আমরা তাকে ধন্যবাদ জানাই।

বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি রামমোহন সেনগুপ্ত বলেন, সবসময় প্রান্তিক খেটে খাওয়া মানুষের পাশে থাকে বাপি। তার ব্যক্তিগত উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলেই তিনি জানান।

সমাজসেবী শেখ বাপি এবিষয়ে বলেন, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। তাদেরকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে পারলে দেশ এগোবো। একথাটা আমরা প্রত্যেক দায়িত্ব নাগরিকই বিশ্বাস করি। আমার সীমিত ক্ষমতার মধ্যেও তাই চলতি শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই ফেব্রুয়ারী মাস জুড়ে এই এলাকার গ্রাম গুলির শিশুদের হাতে বর্ণপরিচয়, সঙ্গে শ্লেট-পেন্সিল তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এই কাজে প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি মানুষের নৈতিক সমর্থণ যেভাবে পাচ্ছি তাতে আমি অভিভূত। এভাবেই আপনারা প্রত্যেকেই এভাবে পাশে থাকুন। আপনাদের সকলের চেষ্টায় এই শিশুরা আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।