আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ- ছবিতে যাকে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ক্যারাটে করতে দেখছেন তিনি বাঁকুড়া শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইতু দাস। প্রায় ৩৫ বছর ক্যারেটের সঙ্গে যুক্ত আছেন এই মহিলা কাউন্সিলর। ভাববেন না যে সখে ক্যারাটে করেন তিনি। ব্ল্যাক বেল্ট (থার্ড ডান) ইতু দাস ৪৭ বছর বয়সেও আত্মরক্ষার্থে ৬৫ জনকে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দেন তিনি। রাজ্য, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সফলতার সঙ্গে যোগদান করেছেন তিনি। কাউন্সিলরের দায়িত্ব নাকি ক্যারাটে, কোনটা আগে? এই প্রশ্ন করায় তিনি জানান, “আমার ছোট থেকেই লড়াকু মনোভাব ছিল, সেই কারণেই ক্যারাটে নিয়ে এগিয়েছি। তার সঙ্গে ওয়ার্ডটাকে সামলাই। আমি চাই যাতে প্রত্যেকে নিজের আত্মরক্ষার্থে ক্যারাটে শিখে শক্তিশালী এবং আত্মবিশ্বাসী হোক।”
৩০ তম NYKC বার্ষিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় এবছর রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে অংশগ্রহণ করেন ২৫৪ জন প্রতিযোগী। কাতা, কুমিতে এবং দলভিত্তিক সঙ্গে ব্যাক্তিগত প্রদর্শন করেন। তার মধ্যে বাঁকুড়ার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইতু দাস নিজের পুত্র শুভম দাসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। ইতু দাসের প্রশিক্ষক সৌমেন ব্যানার্জী জানান, “১৯৯১ সাল থেকে ইতু দাস আমার সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। বর্তমানে কাউন্সিলর হলেও আগে সে একজন লড়াকু অ্যাথলিট। এমনও দিন গেছে যে আমাকে ছায়ায় অপেক্ষা করতে বলে নিজে রোদে ঘন্টার পর ঘন্টা অনুশীলন করে গেছে। ফলে বর্তমানে দাঁড়িয়ে সে একজন নারী শক্তি এবং আত্মরক্ষার দৃষ্টান্ত।”
ইতু দাসের স্বামী এবং পুত্র দুজনেই যুক্ত মার্শাল আর্টের সঙ্গে। তাঁকে অনুসরণ করে বাঁকুড়ায় বহু কিশোরী,যুবতী এবং মহিলা অনুপ্রাণিত হচ্ছেন এবং ক্যারেটের মত একটি দৈহিক পরিশ্রমের মার্শাল আর্ট বেছে নিচ্ছেন।