অষ্টম শ্রেণীর নাবালিকার বিয়ে রুখলো ব্লক প্রশাসন।

0
83

দক্ষিন দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রেশমি র জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল, জানতে পেয়ে তা রুখে দিলো কুশমন্ডি ব্লক প্রশাসন।সোমবার বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী রেশমি পড়াশুনার জন্য মামার বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের আকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের অনন্তপুর গ্রামে থাকতো । এবং স্থানীয় পরমেশ্বর পুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতো। পড়াশোনা চলতে চলতেই এ বছর অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশুনা চলাকালীন তার মামার বাড়ির পক্ষ থেকে জোড়পূর্বক বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের ২ নং করঞ্জি গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়া নামক গ্রামে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু মেয়েটি বিয়ে করতে নারাজ থাকায় বিদ্যালয়ে গিয়ে বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষকের হাতে পায়ে ধরে কান্নাকাটি করে বলে সূত্রের খবর। পরমেশ্বর পুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নিখিল কুমার হালদার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী রেশমির কাছ থেকে পুরো ঘটনাটি শুনে তৎক্ষণাৎ টোল ফ্রি নম্বর ১০৯৮ এ ফোন করে সমস্ত বিষয়টি জানান। নাবালিকার এই বিয়ের খবর জানতে পেরে ছুটে আসেন কুশমন্ডি থানার প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে রাজ্যের মেয়েদের উচ্চশিক্ষার জন্য কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজ সাথী সহ একাধিক প্রকল্পের ব্যবস্থা করেছেন সেখানে, এরকম বাল্যবিবাহ অবাক করার বিষয়।

কুশমন্ডি থানার ব্লক প্রশাসন রেশমির মামার বাড়ির দাদু, মামী কাছ থেকে বিয়ে সম্পর্কে জানতে চান কিন্তু মামার বাড়ির লোকজন বিয়ে সম্পর্কে অস্বীকার করেন। ব্লক প্রশাসন মামাবাড়ি লোকজনদেরকে বাল্যবিবাহ সম্বন্ধে অবগত করেন এবং রেশমি বাবাকেও ফোনে যোগাযোগ করে পুরো ঘটনাটি জানতে চান। কুশমন্ডি থানার প্রশাসন সবশেষে মামার বাড়ির লোকজনদের কাছ থেকে একটি মুচলেখা গ্রহণ করেন।

দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে বিদ্যুৎ কুমার মাহাতোর রিপোর্ট