বালুরঘাট শহরের খিদিপুর এলাকার পালপাড়ার কুমোরটুলিতে প্রতিমার চাহিদা গত বছরের তুলনায় প্রচুর।

0
111

নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাটঃ – আর সাত দিন বাদেই বিদ্যাদেবী সরস্বতীর আরাধনায় মেতে উঠবে বাংলা। বালুরঘাট ও পিছিয়ে নেই সেদিক দিয়ে বাগদেবীর বন্দনায়। গত বছর ও সরস্বতী পুজোয় প্রতিমার চাহিদা ছিল কম। এ বছর কিন্তু এক সপ্তাহ আগেই প্রতিমার চাহিদা কিন্তু গত বছরের তুলনায় প্রচুর।এই চিত্রই ধরা পড়ল বালুরঘাট শহরের খিদিপুর এলাকার পালপাড়ার কুমোরটুলিতে। ফলত, নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন প্রতিমা শিল্পীরা। অন্যদিকে, পুজোর দিন যতই এগিয়ে আসায় রাত-দিন এক করে চলছে প্রতিমা নির্মাণের কাজ।

জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী মা সরস্বতীর আশীর্বাদ পেতে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো বালুরঘাটের পাড়া-মহল্লায়ও চলছে রমরমিয়ে পুজোর আয়োজন।এদিকে টানা বেশ কয়েকদিন আকাশে সুর্য্যের দেখা না পাওয়ায় প্রতিমা কারিগররা শেষ সময়ে বেশ কিছুটা মাটির কাজে বেগ পেলেও বর্তমানে মেঘাচ্ছন্ন ভাব কেটে সুর্য্যের দেখা মেলায় কুমোরটুলির কারিগররা ফের নিজেদের হাতে থাকা প্রতিমার মাটির কাজ শেষ করতে উঠে পড়ে লেগেছেন।
এ বছর পুজোর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য দুটি কারণ সামনে আনছেন শিল্পীরা। প্রথমত,স্কুল কলেজ বা বিদ্যালয় গুলির শিক্ষাংগন গুলিতে তো বরাবর সরস্বতী পুজোর চল থেকে থাকেই, কিন্তু বিগত বছর গুলোতে করোনা নিয়ে বারোয়ারী পুজোর সংখ্যা কমে গেলেও এবার সেই ছ্যুৎ মার্গ উঠে যাওয়ায় পাড়ায় পাড়ায় বারোয়ারী সরস্বতী পুজোর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার প্রতিমার চাহিদা বেড়েছে।

হাতে আর মাত্র এক সপ্তাহ সময়, তার মধ্যে চূড়ান্ত ব্যস্ততায় কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা। মৃৎ শিল্পী পাপাই পালের কথায়, “আগের কয়েক বছরের থেকে এবার প্রচুর অর্ডার এসেছে। তবে শীতের সময় আকাশ মেঘেচ্ছন কাজ করতে অনেকটাই অসুবিধা হচ্ছে। তবে বর্তমানে মেঘ সরিয়ে সুর্য্য ওঠায় হাতে থাকা বায়নার প্রতিমার মাটির কাজ প্রায় শেষ করে আনা সম্ভব হচ্ছে।তার আরো বক্তব্য করোনা কাল পার হয়েও গত বছর তেমন প্রতিমার চাহিদা ছিল না। সে তুলনায় এবছর প্রতিমার বায়না ও চাহিদা বেশি হওয়ায় বিগত কয়েক বছরের তুলনায় লক্ষ্মী লাভ কিছুটা বেশি হবে বলেই মনে করছেন শিল্পীরা।