একলব্য’র উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন।

0
61

দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি পালিত হয়। তাই ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন দুবরাজপুর শহরের নাট্যচর্চা একলব্য’র উদ্যোগে ভাষা শহীদ স্মরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় দুবরাজপুর ব্লক সংলগ্ন নেপাল মজুমদার ভবন প্রাঙ্গণে। তাছাড়াও কচিকাঁচাদের উৎসাহ দিতে অঙ্কন প্রতিযোগিতারও আয়োজনেম করা হয়। এই অঙ্কন প্রতিযোগিতায় দুবরাজপুর শহরের প্রায় দেড়শ কচিকাঁচা অংশ নেয়। তিনটি বিভাগে এই প্রতিযোগিতা হয়। যেমন খুশি আঁকো প্রতিযোগিতায় ‘ক’ বিভাগের বিষয় অপত্যস্নেহ, ‘খ’ বিভাগের বিষয় অপত্যস্নেহ এবং ‘গ’ বিভাগের বিষয় স্টিমার আসিছে ঘাটে পড়ে আসে বেলা, পুজোর ছুটির দল লোকজন মেলা। এদিন একলব্য’র ভাষা শহীদ স্মরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুর পৌরসভার পৌরপিতা পীযূষ পাণ্ডে, দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ, বিশিষ্ট শিক্ষক তপন ওঝা, একলব্য’র কর্ণধার মধুসূদন কুণ্ডু সহ সংস্কৃতি মনভাবাপন্ন মানুষজন। তাঁরা প্রত্যেকেই একুশের কথা বলেন। একলব্য’র এই অনুষ্ঠানে কবিতা, আবৃত্তি, সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা। তাছাড়াও সবশেষে একটি নাটকও মঞ্চস্থ করে একলব্য’র সদস্যরা। উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালের এই দিনেই ভাষার জন্য প্রাণ বাজি রেখে এই লড়াই করেছিলেন একদল বাংলাদেশী ছাত্র। আর আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশের নির্মম গুলি চালানোর ঘটনা ইতিহাসের অন্যতম এক রক্তক্ষয়ী অধ্যায়! এই ভাষা শহিদদের স্মরণেই প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার সহ আরও অনেকে। এই ভাষা শহিদদের স্মরণে ওই দিনটিকেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।