পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- কয়েকদিন সময়ের অপেক্ষা মাত্র, একই ট্রেনে চেপে মানুষ পৌঁছাবে বাঁকুড়া থেকে হাওড়া পর্যন্ত। বাঁকুড়া দামোদর রিভার রেলওয়ে যেটা বর্তমানে বাঁকুড়া থেকে মশাগ্রাম পর্যন্ত চলে, এবার সেই ট্রেন কিনা সংযুক্ত হতে চলেছে কর্ড লাইনে। একই ট্রেনে মানুষ পৌঁছাবে হাওড়া। বাঁকুড়া থেকে হাওড়া ট্রেন চলাচল শুরু হলে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি ঘটবে বলেই মত বিশেষজ্ঞ সহ সাধারণ মানুষজনের। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বাঁকুড়া হাওড়া রেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
গুটি গুটি পায়ে বহু বছর ধরে একরাশ ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে কু ঝিকঝিক শব্দে চলতে থাকে এই ট্রেন। যেটা চলতো বাঁকুড়া থেকে রায়নগর পর্যন্ত। বাবা-মা ঠাকুরদা স্মৃতিতে সেই বড় দুঃখের রেল বিডিআর রেলের সুখ দুঃখ নানা ঘটনার কোলাজ আজও ভিড় করে আছে। ১৯৯১ সাল থেকে এলাকার মানুষদের হাত ধরে দাবি উঠতে থাকে উক্ত রেলপথকে বঞ্চনার হাত থেকে তুলে এনে ব্রডগেজে রূপান্তরিত করতে হবে। বলাই বাহুল্য ব্রডগেজ লাইনের দাবীতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন বাঁকুড়া দামোদর রিভার রেলওয়ে পরিবহন ওয়েলফেয়ার নামক সমিতি। সমিতির সম্পাদক সুপ্রকাশ সামন্ত, যিনি দক্ষিণ দামোদরের সেহারাবাজারের বাসিন্দা। উক্ত সমিতির অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল বর্তমানে বাঁকুড়া মশাগ্রাম রেলপথ, যেটা দক্ষিণ দামোদরের গর্ব। শুধু তাই নয় দেশের লোকসভার একদা সংসদ প্রয়াত বাসুদেব আচারিয়া এবং তৎকালীন সাংসদ বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদানও অনস্বীকার্য। ২০০০ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন চল্লিশ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন বলে সূত্রের খবর। আর তারপর থেকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি কাউকেই। বিগত কয়েক বছর যাবত বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজ এলাকাবাসী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস নামক গুরুত্বপূর্ণ রেল পেতে চলেছেন। বাঁকুড়া থেকে মশাগ্রাম পর্যন্ত রেললাইন ২০১৩ সালে ব্রডগেজ এ রূপান্তরিত হয়, এখন তা হাওড়া গামী লাইনে সংযুক্ত হওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।