নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- নদীয়ার চাকদার পর এবার শান্তিপুরেও মেলের মাঠ এলাকায় ,উদ্ধার একাধিক ভোটার এপিক কার্ড। আর তাতেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি গোটা এলাকায়। শাসকবিরোধী রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।
শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নৃপেন মন্ডলের কাছ থেকে জানা যায়, তার বাড়ি সংলগ্ন মেলের মাঠ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে সাফাই কর্মীরা আজ বেশ কিছু ভোটের কার্ড পান। তিনি ওই এলাকার বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যা শিখা ভৌমিক এর কাছে সেগুলো জমা করেন। এরপর শান্তিপুর পঞ্চায়েত সভাপতি নৃপেন মন্ডলের কাছে ভোটের কার্ড উদ্ধারের ব্যাপারে ফোন করে জানান। তিনি এসে স্কুলের ওই পরিত্যক্ত অঞ্চল আবারো ঘুরে দেখেন, খবর দেন পুলিশ প্রশাসনের কাছে। যদিও সরকারি কর্মচারী হোক কিংবা তৃণমূল নেতৃত্ব সেগুলোকে ফেলে রেখে মানুষকে বিড়ম্বনায় ফেলেছে। এক্ষেত্রে নতুন পরিচয় পত্র পাইয়ে দেওয়ার জন্য তৃণমূলের কোনো নেতৃত্ব কাটমানি নিয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
যদিও এ বিষয়ে শান্তিপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুব্রত সরকার কটাক্ষ করে বলেছেন, আদৌ সভাপতি নিজে কোন দুর্নীতির সাথে যুক্ত হয়ে ওই কার্ড ফেলেছেন কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে যথেষ্ট। তবে তৃণমূলের উপর দোষ চাপানো কখনোই উচিত না কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র নেত্রী যে এই পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ভোট দানের জন্য আন্দোলন করে,এবং এক পরিচয় পত্র এক ভোট শুরু করেন। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে উদ্ধার হয়েছে মোট বারোটি কার্ড যার মধ্যে মেলের মাঠ অঞ্চলেরই বেশিরভাগ, অন্যান্য পার্শ্ববর্তী বাগদেবীপুর সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেরও রয়েছে। তবে পুলিশ সূত্রে খবর শান্তিপুর থানার পুলিশ সঠিক তদন্ত করে উদ্ধার হওয়া ভোটার কার্ড গুলি নথিপত্র যাচাই করে তাদের কাছে পৌঁছে দেবে ওই কার্ড।