কঠোর পরিশ্রম করে চরম দারিদ্রতা সাথে লড়াই করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার স্বনামধন্য ব্যবসায়ী হয়ে ওঠার এক অনন্য নজির গড়লেন মীর মমরেজ আলির।

0
66

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  কাপড়ের ফেরিওয়ালা থেকে শিল্পপতি হওয়ার গল্পটা ছিল না এতো সহজ। কঠোর পরিশ্রম করে চরম দারিদ্রতা সাথে লড়াই করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার স্বনামধন্য ব্যবসায়ী হয়ে ওঠার এক অনন্য নজির গড়লেন মীর মমরেজ আলির। মাত্র ৩৭ বছর ধরে ধরে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন কে এন সি এগ্রো লিমিটেড নামের মৎস প্রজনন কেন্দ্র। দীর্ঘ ৩৭ বছর আগে মাত্র সাত হাজার টাকার পুঁজি নিয়ে শুরু হয়ে ছিল পথ চলা। বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর ২ নম্বর ব্লকের পিছাবনীতে কয়েকশ কোটি টাকা খরচে তৈরী হয়েছে রাজ্যের সর্ব বৃহৎ মৎস প্রজনন কেন্দ্র। সেই কেন্দ্রে প্রায় আড়াই হাজার যুবক- যুবতীর কর্মসংস্থানও হয়েছে। দেশ সহ বিদেশের প্রায় ৫০ টি দেশে রপ্তানি হয় এই কারখানায় উৎপাদন হওয়া মাছের চারা। কে এন সি এগ্রো লিমিটেডের কর্ণধার মীর মোমরেজ আলি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে পেয়েছেন মিনমিত্র সম্মান। শুধু ব্যবসা নয় এলাকায় দু:স্থ ও দরিদ্র পরিবারের ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনার খরচ বহন, গরিব বাড়ির মেয়েদের বিবাহ, বস্ত্র দান, খাদ্যসামগ্রী বিলি সহ প্রচুর দান ধ্যান করেন মীর মোমরেজ আলি। গত ফেব্রুয়ারী মাসের ২৮ তারিখ কলকাতায় মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত পশুপালন ও মৎস সম্পদের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন মীর মোমরেজ আলি। সেখানে তিনি দরিদ্র পরিবার থেকে শিল্পপতি হয়ে ওঠার কাহিনী সবার সামনে তুলে ধরেন। সেই কাহিনী শিল্পপতিদের এতটাই অনুপ্রাণিত করে যে, হাততালি ফেটে পড়ে পুরো সভাগৃহ। মমরেজ বাবুর অবদান খুবই অনস্বীকার্য। তা একে বারেই বলা বাহুল্য বললেই চলে।