পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ভোট আসছে নাটক করে কেউ নিজের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছেন বা টিআরপি বাড়াচ্ছেন। কেউ দল ছাড়ছে, কেউ পদ ছাড়ছে । এগুলো ওদের ভেতরের ব্যাপার এটাই টিএমসি। এগুলো নিয়ে মাথা ব্যাথার আমাদের কোনো কারণ নেই । সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দলের সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগ কুনাল ঘোষ,এবার সেই প্রসঙ্গ নিয়ে শনিবার সকালে খড়গপুর শহর থেকে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ঠিক এভাবেই কটাক্ষ করলেন মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ তথা দাপুটে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, অন্যদিকে রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী, সেই প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন,
যেভাবে টাইট করছে সিবিআই এবং ED , উনি চেষ্টা করেও শাজাহানকে বাঁচাতে পারেনি অজিত মাইতিকে বাঁচাতে পারেননি, আর বাঁচাতেও পারবেন না তাই একটু বলতে গেলেন, দেখবেন একটু ইলেকশান তো, বেশি চাপাচাপি করবেন না, এদিকে একটু সামলান যা হওয়ার হয়ে গেছে, ক্ষমা করে দিন । কয়েকদিন আগেই যখন কলাইকুন্ডা তে প্রধানমন্ত্রী অপেক্ষা করছিলেন ওনার সাথে দেখা করার জন্য তখন উনি দেখা না করে মুখ্য সচিব কে সাথে নিয়ে বেরিয়ে গেছিলেন আজ কি এমন দায় পড়ে গেল যে প্রধানমন্ত্রী সাথে দেখা করতে রাজভবনে ছুটলেন। ঠেলায় পড়লে বিড়ালও গাছে উঠে । এখন গাছে ওঠা শুরু করেছেন। ইলেকশন যত কাছে আসবে তত টাইট হবে, অবস্থা খারাপ হবে তত সন্দেশখালি হবে। এখন বাঁচার জন্য হাতে-পায়ে ধরতেই হবে । অন্যদিকে অনেকেই আগে এরকম তুলনা করেছিলেন তাদের অবস্থা আপনারা জানেন চাকরি করতে হবে থাকতে হবে সেই জন্য অনেকেই এরকম হাত পা টিপে দেন। অনেকেই এরকম করেন । এসব চলছে, ওনাকে পুজো করেই নিজের দোকান চালাতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী সম্বন্ধে বক্তব্য পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসকের মন্তব্যের পরিপেক্ষিতে এমনটাই বললেন দিলীপ ঘোষ, পাশাপাশি শান্তনু সেনের বক্তব্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সম্পর্কে তিনি বলেন
যার উপরে কেস হয়েছে তদন্ত চলছে। আর চলবে কেউ ছাড়া পাবেন না প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কাউকে ছাড়বেন না। কিন্তু ওনার সম্বন্ধে একজন বিল্ডার দাঁড়িয়ে বললেন যখন নাম করে টাকা তুলেছে, নিয়েছে কিন্তু কোন এভিডেন্স তো দিতে পারেনি ।তো তিনি কোন মুখে বলছেন । এই ধরনের পচা লোকদের নিয়ে টিএমসি রাজনীতি করছে। আর যখনই ইডি, সিবিআই আসছে তখন কাঁপন ধরে যাচ্ছে , দেখুন না কি হয়। অন্যদিকে রাজ্য কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসায় সমস্যায় শিক্ষামন্ত্রী, সেই নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন শিক্ষামন্ত্রীর টেনশনের দরকার নেই । যদি স্কুল কলেজ বন্ধ করে অভিষেকের সভা হতে পারে পুলিশ রাখা যেতে পারে, তো সেন্ট্রাল ফোর্স , সারা দেশের সাথে পশ্চিমবাংলাতেও ইলেকশন হবে। পশ্চিমবাংলায় শান্তিতে ইলেকশন করাতে গেলেই সে ব্যবস্থা ইলেকশন কমিশন করবে । সেই জন্য ফোর্স আসবে তার ব্যবস্থাও করতে হবে। কারণ ওনারা দিনের পর দিন বিভিন্ন জায়গায় ফোর্স রেখেছিলেন। জঙ্গলমহলে যখন মাওবাদী আন্দোলন হচ্ছিল তখন বহু স্কুল বছরের পর বছর বন্ধ ছিল , তখন কোথায় ছিলেন উনি। এখন ওনাদের বিরুদ্ধে ব্যাপারটা যাচ্ছে আর ধুমকে চমকে ভোট করতে পারবেন না তাই চিন্তা হচ্ছে । কোথায় থাকবে বাহিনী সেই প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন ইলেকশন কমিশন ঠিক করবে কোথায় থাকবে তারা আর রাজ্যকে তার ব্যবস্থা করতেই হবে তা না হলে এখানে ভোট হতে পারবে না ।আগামী ১০ তারিখ পুরুলিয়াতে কুড়মীদের বৈঠক, লোকসভা নির্বাচনে তাদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনার সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন,তারা তাদের জাতিসত্তার অধিকারের জন্য আন্দোলন করছেন । দেশের সংবিধান আছে সেই অনুযায়ী যাক ব্যবস্থা দেশ করবে । মুখ্যমন্ত্রী ওখানে গিয়ে বলছেন তোমাদের জাতিসত্তা দিয়ে দেব এতদিন ওনারা আন্দোলন করছেন মমতা ব্যানার্জির সাথে চা খাচ্ছেন মমতা ব্যানার্জি এখনো কি একটা চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রকে । সবাইকে বোকা বানাচ্ছেন লোক মমতা ব্যানার্জিকে বিশ্বাস করে না ।
পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে এসে কূড়মী নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে গেছেন আদিবাসী কূড়মী সমাজের নেতা অজিত মাহাতো, সেই প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ ঘোষ বলেন,অজিত মাহাতোকে কেউ নেতা বলে মনে করেন না, পুরুলিয়ার কিছু লোককে নিয়ে উনি ধান্দাবাজি করেন, বার্গেনিং করেন , ভোটের আগে টিএমসির কাছ থেকে টাকা নেবেন, বিজেপিকে ভয় দেখাবেন এই করে পয়সা কামানো ওনার উদ্দেশ্য আর কিছু না। আর কূড়মী নেতারা যে লড়াই করছেন তাদের সেই লড়াই এর প্রতি আমাদের সমবেদনা আছে । যদি তাকে স্বীকৃতি দেয় সরকারও সংবিধান তাহলে তারা তাদের অধিকার পাবেন । অজিত মাহাতোর মতো লোকেদেরকে যদি তারা বিশ্বাস করেন, তাহলে যেমন পাঁচ ভাগ হয়ে গেছে আন্দোলন সেরকম আরো ভাগ হয়ে যাবে ।