গলায় খাবার আটকে মৃত্যু হল শহরের এক বৃদ্ধের।

0
56

নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিন দিনাজপুর :-  বালুরঘাট, ৩ মার্চ: গলায় খাবার আটকে মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। এর পেছনে খাওয়ার সময় অন্য মনস্কতাকেই দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা। ঠিক একই বঘটনা ঘটে গেল বালুরঘাটে। গলায় খাবার আটকে মৃত্যু হল শহরের এক বৃদ্ধের। মৃত ওই বৃদ্ধের নাম নিমাই দাস। তার বাড়ি বালুরঘাট পুরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের ছিন্নমস্তা কলোনি এলাকায়। শনিবার রাতে তিনি প্রতিবেশীর অনুষ্ঠান বাড়িতে আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে খেতে বসেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

পাশের বাড়ি কাজল সরকারের বাড়িতে শনিবার খাওয়া-দাওয়ার অনুষ্ঠান রাখা হয়েছিল। সেখানেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন মৃত ওই বৃদ্ধ। প্রথম অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই খাওয়া দাওয়া করছিলেন। হঠাৎই তার গলায় খাবার আটকে যায়। বিষয়টি নজরে আসে উপস্থিত সকলের। তৎক্ষণাৎ তার ছেলে বুকে পিঠে চাপড়ে দিতে থাকেন। সাধারণত যা সকলে করে থাকেন। প্রথম অবস্থায় বিষম খাওয়া মনে হলেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বেগতিক হতে থাকে। মাত্র ৫০০ মিটার দূরে রয়েছে জেলা হাসপাতাল। সেখানেই তাকে নিয়ে যান আত্মীয়রা। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাকে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। অবশেষে রবিবার দুপুরে তার মৃতদেহ পুলিশ মর্গে পাঠিয়ে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পরে তার মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় এদিন।

খাবার খাওয়ার সময় অমনস্কতা যে বিরাট আকার নিতে পারে প্রমাণ পেল বালুরঘাট। খাওয়ার সময় মনোযোগী হওয়া ও কথা না বলার নিধান বহু যুগ পুরনো। খাবার গিলতে গিয়ে বিষম খাওয়াও খুবই সাধারণ বিষয়। খাদ্য বস্তু গলা দিয়ে শ্বাসনালীতে আটকে গেলেই বিষম লাগে, তা সকলেরই জানা। কিন্তু এটি যেকোনো সময় প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। শ্বাসনালীতে কিছু আটকে গেলে ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে।সদা ব্যস্ত যুগে নিজেদের অসতর্কতায় গলায় খাবার আটকে গিয়ে দম বন্ধ হয়ে পড়ছে অনেকেরই। যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ‘চোকিং’।
সব থেকে বেশি গলায় আটকে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে শিশু ও বয়স্কদের। ৫ বছরের কম ও ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষররা খাবার খেতে গিয়ে বিষম খাওয়ার সমস্যায় পড়ছেন।

মৃত ওই বৃদ্ধের বড় ছেলে শ্রীদাম দাস বলেন, ‘নিমন্ত্রণ বাড়িতে গিয়ে বাবা স্বাভাবিকভাবেই খাওয়া-দাওয়া করছিলেন। কিন্তু ভাত খেতে খেতে হঠাৎই তার গলায় তা লেগে যায়। তার সমস্যা হচ্ছে দেখে বুকে পিঠে স্বভাব সিদ্ধ নিয়মে চাপড় দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক করার চেষ্টা করতে থাকি। কিন্তু তবু পরিস্থিতি ঠিক না হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে।’