নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- শীতঘুম কাটিয়ে আবারো সক্রিয় চোরেদের দল। তবে এবার সাধারণ কোন গৃহস্থ প পরিবার নয়! খোদ পুলিশের ঘরেই থাবা বসালো চোরেরা।
যথেষ্ট চাঞ্চল্যকর এবং দুশ্চিন্তার এই ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পাড়ার। সেখানকার অধিবাসী গনেশ সরকার পেশায় রেল পুলিশ। গত তিন দিন আগে স্ত্রী এবং পুত্রকে নিয়ে আত্মীয় বাড়ি যান ভেবেছিলেন ফিরে আসবেন সেদিনই, কিন্তু তার হয়ে ওঠেনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে, এরপর তিনি নিজে একা ফিরে আসেন বাড়িতে। পাঁচিল দেওয়া বাউন্ডারি প্রথম গেটে চাবি দিয়ে অনায়াসে খোলেন দরজা তারপর বারান্দার গ্রিলের দরজা তবে সেই দরজা খুলতে গিয়ে চাবি স্বাভাবিকভাবে না ঘোরার কারণে সন্দেহ জাগে এরপরেই তালা না দেওয়া বারান্দার কাঠের দরজা এবং ঘরের দরজা খুলে দেখেন দুটি আলমারি লন্ডভন্ড, লকার ভেঙ্গে উধাও নগদ ২২ হাজার টাকা এবং নিজের সোনার আংটি ছেলের গলার চেন এবং স্ত্রীর নেকলেস সহ একটি শিব ঠাকুরের লকেট। এছাড়াও রূপো কিংবা স্ত্রীর রাখা গহনা কিংবা মূল্যবান জিনিসপত্রের কথা এখনো জানেন না গনেশ বাবু। ইতিমধ্যেই শান্তিপুর থানায় ফোন করে জানালে পুলিশ প্রশাসন এসে খতিয়ে দেখে যায় তবে শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন তারা।
এলাকার অধিবাসীরা জানাচ্ছেন কোনদিনই এপাড়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি তার ওপর ফার্নিচার বাজারের ঝকঝকে আলো তার মূল রাস্তার পাশে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছায় ওই দোকান এবং গণেশ বাবুর বাড়ির পেছনে রয়েছে সিসি ক্যামেরা তার খতিয়ে দেখা দরকার। তবে এই তিন দিনের মধ্যে কোন দিন নাকি রাতে তা কিছুই আন্দাজ করা যাচ্ছে না অন্যদিকে গণেশ বাবুও এ বিষয়ে কাউকে সন্দেহ করছেন না ।
তবে একের পর এক চুরির ঘটনার পরেও পরপর তিনদিন বাড়িতে না থাকা এবং ঘরের দরজা ও বারান্দার কাঠের দরজায় তালা না দেওয়া আরো সহজ হয়েছে এই দুষকর্ম ঘটাতে এমনটাই মনে করছেন প্রতিবেশীরা।
তবে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ প্রশাসন।