দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ – খিদিরপুর শ্মশানে মৃতদেহ চটজলদি সৎকারের জন্য তৈরি করা হয়েছিল দুটি বৈদ্যুতিক চুল্লি। কিন্তু তা অকজো হয়ে পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন। চুল্লি বিকলের কারণ খোঁজ করতে গিয়ে জানা যায় ধোঁয়া বেরোনোর চিমনিতে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাই মাঝেমধ্যেই চুল্লি কাজ করা বন্ধ করে দিচ্ছে। অবশেষে পুরসভা শ্মশানে নতুন চিমনির কাজ শুরু করেছে। শনিবার দুপুরে সেই কাজ খতিয়ে দেখতে হাজির হন বালুরঘাটের পুরপ্রধান অশোক মিত্র। প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা অর্থ বরাদ্দে এই কাজ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
বালুরঘাট শহরের খিদিরপুর এলাকায় অবস্থিত শ্মশানটিতে ২০১৭ সালে বৈদ্যুতিক চুল্লি স্থাপন করা হয়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের তরফে প্রায় দু কোটি টাকা আর্থিক বরাদ্দে তৈরি হয়েছিল চুল্লিটি। যা প্রায় এক বছর ধরে বিকল হয়ে পড়ায় চরম সমস্যায় পড়েছে বালুরঘাট শহর ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। শহরবাসীর সমস্যা উপলব্ধি করে তড়িঘড়ি বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে মৃতদেহ শেষকৃত্য করার কাঠ, খড়ি সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে পুরসভা। কিন্তু এটি স্থায়ী সমাধান নয়। তাই বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞ দল নিয়ে এসে তদন্ত শুরু হয়। জানা যায় চিমনির ভেতর চর্বিষহ বিভিন্ন জিনিসে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। কিন্তু সেই চিমনি মেরামত করাও একপ্রকার অসম্ভব। কারণ সেখানে কোনও জানলা নেই। দীর্ঘদিন ধরেই পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ চিমনি ধোঁয়া উপরে না গিয়ে এলাকায় ছড়িয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছিলেন। সেই চিমনি মেরামতে করতে গেলে আগুন লাগার আশঙ্কাও তৈরি হতে বলে জানায় বিশেষজ্ঞ দল। অবশেষে পুরাতনকে মেরামতি নয়, নতুন করে তা তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে ডাক্ট পাইপ, নতুন এক্সজস্ট সহ জলের পরিষেবা থাকবে। ৩০ মিটার উঁচু হবে এই চিমনি। যেখানে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জানালা থাকবে।
সাহেব কাছাড়ি এলাকার বাসিন্দা কাঞ্চন সাহা বলেন, ‘খরি দিয়ে মৃতদেহ সৎকারে প্রচুর সময় লেগে যায়। ফলে লাইন দিয়ে থাকতে হয় শবযাত্রীদের। পুরসভার তরফে খড়ি দেওয়া হয় ঠিকই। কিন্তু চুল্লি দরকার। দ্রুত চিমনি তৈরি করে চুল্লি দুটি কার্যকার করুক পুরসভা।’
বালুরঘাট পুরসভার প্রধান অশোক মিত্র জানান, ‘খিদিপুর শ্মশানের চুল্লি সকলের অতি প্রয়োজন। সেটি খারাপ থাকার কথা জানতে পারে আমরা তৎপর হয়েছি। চিমনির জন্য সমস্যা হচ্ছিল। অনেক টেকনিক্যাল বিষয় ছিল। কিন্তু পুরনো চিমনি সারাই করা সম্ভব না। তাই নতুন চিমনি প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা বাজেটে তৈরি হচ্ছে। আশা করছি এক মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।’
বিজেপি শহর সভাপতি সমির প্রসাদ জানান শ্মশান নিয়ে চেয়ারম্যান ভাওতা বাজি করছেন