নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- নদীয়া জেলার শান্তিপুর ব্রাহ্ম সমাজের ব্রহ্মমন্দির টি স্থাপিত হয়েছিল ১৮৬৪ সালে। ২০০৬ সালে এটি হেরিটেজ তকমা পায়। সেখানে তিনদিন ধরে চলছে ১৬০ তম বাৎসরিক উৎসব। শুরুতে গরীব মানুষদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হয়। অংকন, সঙ্গীত ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ছাড়াও প্রতিদিনের ব্রহ্মোপাসনা, ঋতু বন্দনা, সংগীত ও বিভিন্ন বিষয়ে বক্তৃতা চলছে। শান্তিপুর ব্রাহ্মসমাজের বর্তমান সম্পাদক তপোব্রত ব্রহ্মচারী জানান, বিজয়কৃষ্ণের মতো উচ্চ শিক্ষিত মানুষকে ব্রাহ্ম ধর্মে যুক্ত হতে দেখে এক সময় এখানে এগিয়ে এসেছিলেন শান্তিপুরের একাধিক কৃতবিদ্য মানুষ। তাদের মধ্যে উল্লেখ করা যায়, ক্ষেত্রমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, অঘোরনাথ গুপ্ত, ভুবনমোহন গুপ্ত, রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ডাঃ অভয়চরণ বাগচী, রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ, বীরেশ্বর প্রামাণিক, হরেন্দ্র নাথ মৈত্র, পুন্ডরীকাক্ষ মুখোপাধ্যায়, যোগানন্দ প্রামানিক প্রমূখ। শুরুতে এখানকার আচার্যের দায়িত্বে ছিলেন রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ। এক ঝাঁক শিক্ষিত মুক্তমনা যুবক ঝাঁপিয়ে পড়লেন ঘুণ ধরা সমাজকে অশিক্ষ, কুসংস্কার, ও জাতপাতের সংকীর্ণতা থেকে তুলে আনার কাজে। কিন্তু এই সমাজ সংস্কার আন্দোলন শান্তিপুরের একটা বড় অংশের মানুষ মেনে নিতে পারেননি। আমরা আজও চেষ্টা করে যাচ্ছি সংস্কার মুক্ত সমাজ গড়ার, যে স্বপ্ন দেখেছিলেন রাজা রামমোহন রায়, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কেশব চন্দ্র সেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুররা।