ঘুরে আসুন কমলা লেবুর শহর সিটং।

0
107

ঘুরতে কে না ভালোবাসে। বিশেষ করে বাঙালিরা সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ে ভ্রমনের নেশায়। কেউ পাহাড়, কেউ সমুদ্র আবার কেউ প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান ভালোবাসে ভ্রমণ করতে। প্রকৃতি কত কিছুই না আমাদের জন্য সাজিয়ে রেখেছে। কতটুকুই বা আমরা দেখেছি। এ বিশাল পৃথিবীতে আমরা অনেক কিছুই দেখিনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় আজ গোটা পৃথিবীটা হাতের মুঠোয়় এলেও প্রকৃতিকে চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করা এ এক আলাদা রোমাঞ্চ, আলাদা অনুভূতি যার রেষ হৃদয়ের মনিকোঠায় থেকে যায় চিরকাল।।

তাইতো আজও মানুষ বেরিয়ে পড়়ে প্রকৃতির কে গায়ে মেখে রোমাঞ্চিত হওয়ার নেশায়। কেউ চায় বিদেশে ভ্রমণে, আবার কেউ চায় দেশের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণে। এমনি এক ভ্রমণ এর জায়গা হলো  সিটং বা সিতং।

সিটং বা সিতং গ্রামটি দার্জিলিং জেলার কার্শিয়ং মহাকুমা এ অবস্থিত একটি লেপচা গ্রাম , এই সিটং এর উচ্চতা হল ৪০০০ ফিট।

কিন্তু এই গ্রামটি বাঙালিদের কাছে কমলেবুর গ্রাম নামে অন্য নামে পরিচিত। সিটংকে দার্জিলিংয়ের কমলার হৃদয়ও বলা হয়, দার্জিলিংয়ের বেশিরভাগ কমলা সিটং গ্রামেই উৎপাদিত হয়।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং কমলা গাছের জন্য এই স্থানটি পর্যটকদের কাছে একটি নতুন ভ্রমণ স্থান হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
এছাড়াও একটি রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে আপনি এখান থেকে সহজেই কাঞ্চনজঙ্ঘার পরিষ্কার দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।
শান্তিতে প্রকৃতি উপভোগ করতে এবং দুশ্চিন্তামুক্ত সময় কাটানোর জন্য সিটং একটি উপযুক্ত জায়গা।

সিটং পৌছাব কিভাবে —-

এবার দেখা যাক সিটং পৌছাব কিভাবে , সিটং পৌঁছানর জন্য দুটি রাস্তা আছে –

সিটং পৌছতে গেলে আপনারা শিলিগুড়ি থেকে বা NJP Station থেকে গাড়ি ভাড়া করে করে নিতে পারেন সিটং এর উদ্দেশে , এক্ষেত্রে আপনি সিটং পৌঁছানর জন্য কোন শেয়ার গাড়ির অপশন পাবেননা।

সিটং এ কী কী দেখবেন —

সিটং মুলত একটি ছোট পাহাড়ি গ্রাম যার প্রাকিতিক সুন্দরজ অপরুপ, এখানকার সুন্দরজ আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধ করে তুলবে
সিটং এ থাকার সময় আপানারা এর পাশাপাশি কিছু স্থান সহজেয় দেখে নিতে পারেন–

Jogighat – সিটং থেকে প্রায় 20 কিলোমিটার দূরে রিয়াং নদীর তীরে অবস্থিত, এখানে আপনি পুরানো কাঠের সেতু দেখতে পাবেন যা রিয়াং নদীর উপর দুটি গ্রামকে সংযুক্ত করে। পাহাড়ে ঘেরা আর মাঝে বয়ে চলা নদীর দৃশ্য এই জায়গাটিকে দিয়েছে অন্যরকম সৌন্দর্য।
সিটং অরেঞ্জ ভ্যালি- কমলা খেতে কার না ভালো লাগে, কিন্তু আপনি যদি সরাসরি গাছ থেকে কমলা খেতে পারেন, তাহলে আপনার আনন্দই আলাদা। সিটং-এর প্রধান আকর্ষণ এখানকার কমলার বাগান, আপনি নভেম্বর-জানুয়ারি মাসে এখানকার গাছে কমলা ফল দেখতে পারেন।
Mongpu Tagore’s House–– বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথকুরের বাড়িটি সিটং থেকে খুব দূরে অবস্থিত, আপনি চাইলে এই জায়গাটিতে যেতে পারেন। সিঙ্কোনা গাছের চারা রোপণ এবং তা থেকে কুইনাইন তৈরির কারখানাও রয়েছে।
আহলদরা ও লাটপাঞ্চার – সিটং থেকে আহালদরা প্রায় 30 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, এই ভিউ পয়েন্ট থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত সহ কাঞ্চনজঙ্ঘার পরিষ্কার দৃশ্য আপনার মনকে ভরিয়ে দেবে। এছাড়াও ঘুরে আসতে পারেন লটপাঁচার যা বিভিন্ন পাখির রাজ্য। এটি পাখি প্রেমীদের জন্য একটি স্বর্গ যেখানে আপনি অনেক বিরল প্রজাতির পাখি দেখতে পাবেন।
-Namthing Pokhri সেলপু পাহাড়ে অবস্থিত একটি প্রাচীন জলাধার, এটি বর্ষা ছাড়া বছরের 6 মাস শুকনো থাকে। এই নামথিং পুকুরে একটি বিরল প্রজাতির হিমালয়ান সালামান্ডার দেখা যায়। এছাড়াও এখানে আপনি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এবং প্রজাপতি দেখতে পারেন। এই জায়গাটি আহলদরা থেকে খুব বেশি দূরে নয় এবং পায়ে হেঁটে যাওয়া যায়।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।