প্রায় তিন শতাধিক প্রাচীন এই পুজো। রানাঘাটের জমিদাররা এই পুজো প্রতিষ্ঠা করা বলে জানা যায়। আগে মন্দিরটাকে ভাঙা জরা জীর্ণ অবস্থাতেই ছিলো ।এরপর ১৯৮৯ সালে পুনরায় ধুমধাম করে পালন করা হয় এই মহিষমর্দিনী পূজা। কথিত আছে এখান থেকেই কাঠামো ভেসে চলে যায় কালনায়। সেই ভাসমান কাঠামো তুলে পুনরায় মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং পুজো করা হয় কলনায়।
তিথি অনুযায়ী পূজো হয় রানাঘাটে। নিমন্ত্রণ এর ক্ষেত্রে রীতিনীতি মানা হয়।এই পুজোয় কালনার পুজো কর্মকর্তাদের যেমন নিমন্ত্রণ থাকে তেমনি রানাঘাটের পুজো কর্মকর্তারা ও নিমন্ত্রিত থাকে কালনার পুজোর সময়। রানাঘাটের অতি প্রাচীন এই মহিষমর্দিনী পূজা দেখতে পাঁচ দিন ভিড় করেন স্থানীয় বাসিন্দা সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ভক্তবৃন্দ । অষ্টমীর দিন শিব পার্বতীর বিয়ে উপলক্ষে জলসার আয়োজন করা হয়। এবং নবমীর দিন নারদ ভ্রমণ করা হয় এবং রানাঘাটবসি সকলকে নিমন্ত্রণ করা হয় সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের ভোজনের ব্যবস্থা করা হয় পূজো কমিটির পক্ষ থেকে খিচুড়ি, পোলাও, আলুর দম চাটনি পায়েস এই।
বিয়ের আগে রানাঘাট শহর পরিক্রমা করেন নারদমুনি শিবঠাকুর কে নিয়ে ছড়াকেটে সাজানো নারদমুনি রানাঘাটবাসি দের বিয়ে তে আসার জন্য যেমন আমত্রণ জানান পাশাপাশি উৎসবের চেহারা নেই পুজো মণ্ডপ। চৈত্র মাসের এই মহিষমর্দিনী পুজোতেও দুর্গাপুজোর স্বাদ পান আপামর রানাঘাটবাসী। পাশাপাশি উপভোগ করেন মেলার।
।। নদীয়া।।