স্মরণে, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী চারুচন্দ্র বসু।

0
65

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের কঠোর পরিশ্রম ও লড়াই, যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত সৃঙ্খল মুক্ত হতে পেরেছভাপেরেছিল। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে চারুচন্দ্র বসু  ছিলেন একজন অন্যতম বীর ও নির্ভীক বিপ্লবী।  চারুচন্দ্র বসু  ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে।    বিমল দাশগুপ্ত একজন ভারতীয় সশস্ত্র বিপ্লববাদী।

চারুচন্দ্র বসু (1890 – 19 মার্চ, 1909) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব এবং একজন  অগ্নিযুগের বিপ্লবী।  বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে তিনি স্বদেশী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরে অনুশীলন সমিতির সদস্য হন।  তিনি একজন পাতলা, দুর্বল যুবক ছিলেন যার ডান হাত জন্ম থেকেই অসাড় ছিল।  তাঁর পিতার নাম কেশবচন্দ্র বসু এবং তৎকালীন খুলনা জেলার শোভনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

বিপ্লবী কার্যক্রম–

1990-এর দশকে, পুলিশ আইনজীবী আশুতোষ বিশ্বাস বিপ্লবীদের জড়িত মামলায় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করতেন।  বিপ্লবীরা তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিলে চারুচন্দ্র একাজের দায়িত্ব নেন।  তিনি তার অসাড় হাতে একটি রিভলভার বেঁধে এবং 1909 সালের 10 ফেব্রুয়ারি আদালত প্রাঙ্গণে আশু বিশ্বাসকে তার বাম হাতে গুলি করেন এবং ঘটনাস্থলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  পুলিশ তাকে নির্যাতন করেও কোনো কথা বের করতে পারেনি।  তিনি শুধু বলেছিলেন: “” “ভবিতব্য ছিলো আশু আমার হাতে নিহত হবে, আমি ফাঁসিতে মরবো, আশু দেশের শত্রু তাই হত্যা করেছি”।  বিচারের মাধ্যমে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় এবং ১৯০৯ সালের ১৯ মার্চ আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।