দক্ষিণ দিনাজপুরের দণ্ডীকাণ্ডের রেশ লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে উঠে এলো।

0
48

নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুর:- লোকসভা নির্বাচনের আগে দন্ডিকাণ্ডকে আবারো সুকৌশলে প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন সুকান্ত মজুমদার। এদিন বৃহস্পতিবার তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শনকৌর এলাকায় প্রচারে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দন্ডি কাণ্ডের ঘটনাটি আরো একবার তুলে ধরেন।

লোকসভা ভোটের আগে এই ইসুকে দিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বিপ্লব মিত্র কে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বাবুর বক্তব্য বিপ্লব মিত্র একসময় বিজেপিতে এসেছিলেন এবং বিজেপি থেকে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেছেন, তাহলে তার ক্ষেত্রে তাকে কেন দন্ডী কাটিয়ে ফেরানো হবে না আদিবাসী মহিলাদের ক্ষেত্রে যে নিয়ম বিপ্লব মিত্রের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম করা উচিত।

প্রসঙ্গত, এই গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শনকৈর এলাকা থেকেই তিন আদিবাসী মহিলাকে পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে তৎকালীন জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তিন আদিবাসী মহিলাকে দন্ডি কাটানোর অভিযোগ ওঠে। এই মহিলাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তারা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে বিজেপি থেকে তৃণমূলে নিয়ে আসার সময়ে তাদের দণ্ডী কাটানো হয় প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে। সেই খবর প্রচার হতেই রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে ওঠে।
বিজেপি অভিযোগ তোলে, আদিবাসীদের হীন চোখে দেখে তৃণমূল কংগ্রেস আর সেই কারণেই আদিবাসী মহিলাদের দন্ডী কাটানো হয়েছিল।

এদিন সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের বিরোধিতায় তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি সুভাষ চাকী জানান, সুকান্ত মজুমদার রাজনৈতিক বক্তব্য রাখতে গিয়ে একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। ওই সময় দল ওই ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। পাশাপাশি আদালতেও মামলা হয়েছে। দল যা ব্যবস্থা নেয়ার নিয়েছে সেখানে সুকান্তবাবুর কথায় তৃণমূল দল চলবে না।