১৫ বছরের নাবালিকাকে গোয়াল ঘরের ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ! তৃণমূল কর্মীর ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ। আজ নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্য বিজেপির সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র।

0
42

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  নদীয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত আর বান্দি অঞ্চলে নির্যাতিতা যুবতীর বাড়িতে এলেন বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্রসহ নদীয়া জেলার একাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থক। নির্যাতিতার বাড়িতে এসে তার পরিবারের সাথে কথা বলেন মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। উল্লেখ্য গত সোমবার হোলি খেলার রাতে ওই এলাকার 15 বছর এক নাবালিকাকে তার বাড়ির গোয়াল ঘরে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত এক যুবক। অভিযুক্ত যুবকের নাম রিন্টু বিশ্বাস। বাড়ি ওই গ্রামে। ওই গোয়াল ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তার মা বাড়ি না থাকার সুযোগ নিয়েই এই ঘটনা ঘটিয়েছে অভিযুক্ত। এরপর তার মা বাড়িতে এলে পুরো বিষয়টি তার মাকে জানাই ওই নাবালিকা। এরপরেই রক্তাক্ত অবস্থায় ওই নাবালিকাকে প্রথম বাদকুল্লা হাসপাতাল পরবর্তীকালে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে চিকিৎসক। সেই ঘটনায় গতকালও জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিজেপি। এদিন ওই নাবালিকা পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে আসেন বিজেপির রাজ্যসভায় নেত্রী। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফাল্গুনী পাত্র জানান, রাজ্যের সমস্ত জায়গায় মহিলাদেরকে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। রাজ্য সরকার সমস্ত ঘটনাগুলোকে ছোট এবং লঘু করে দেখছে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসন কেউ কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার এবং পুলিশ একত্রিতভাবে সমস্ত দোষীদের ছেড়ে দিচ্ছে। শুধু সন্দেশখালি নয় রাজ্যের প্রতিটি জায়গায় সন্দেশখালীর মতো নির্যাতন ঘটছে। এই ঘটনায় তারা ফাঁসির সাজা অভিযুক্তর বিরুদ্ধে। উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়ে নির্যাতিতার পরিবার যাতে সঠিক বিচার পায় তা নিয়েও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে সভানেত্রীর নেতৃত্বে মিছিল করে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় । অন্যদিকে বিজেপির শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী জানান, রাজ্যের প্রতিটি জায়গায় যেভাবে মহিলাদের সাথে নির্যাতন করা হচ্ছে তাতে করে নির্বিকার রাজ্য সরকার। রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী একজন মহিলা হওয়া সত্বেও রাজ্যের মেয়েরা রাস্তায় বেরোতে পারছেন না । তবে আর বান্দির ঘটনা আবারো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে রাজ্যে কিভাবে তৃণমূল নেতারা মহিলাদের উপর অত্যাচার করছে।
অন্যদিকে বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে নদিয়া দক্ষিণ জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি সনৎ চক্রবর্তী বলেন, এই ঘটনার তৃণমূলের কোনো যোগ নেই। অভিযুক্তর পরিবার তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত নয়। অহেতুক বিজেপি ভোটের আগে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। ভোট ব্যাংকে মানুষ তার সঠিক বিচার করবে।