পাওয়ার হাউসে আগুন লেগে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি, বিদ্যুৎ দপ্তরের বিরুদ্ধে চরম দাবিলতির অভিযোগ এলাকাবাসীদের।

0
59

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  পাওয়ার হাউসে আগুন লেগে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি, বিদ্যুৎ দপ্তরের বিরুদ্ধে চরম দাবিলতির অভিযোগ এলাকাবাসীদের। তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের বাবলা পাওয়ার হাউসে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই দিন সন্ধ্যা আনুমানিক সাতটা নাগাদ পাওয়ার হবে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন এলাকাবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় দমকল বাহিনীর একটি ইঞ্জিন। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে অল্প সময়ের মধ্যে আগুন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। দমকল বাহিনীর একটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলেও সময়মতো দ্বিতীয় ইঞ্জিন না পৌঁছানোর কারণে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এলাকাবাসীদের মধ্যে। পাশাপাশি পাওয়ার হাউসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের বিরুদ্ধে চরম উদাসীনতার অভিযোগ উঠে আসে এলাকা থেকে। এই প্রসঙ্গে, স্থানীয় বাসিন্দা পলি পাল জানান, হঠাৎ করে এই দিন সন্ধ্যায় পাওয়ার হাউজের পেছনদিকে স্টোর রুমে আগুন ধরে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন পুড়িয়ে পড়লেও সময় মতো দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়ার কোন সদিচ্ছা দেখাইনি বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণ পর খবর পেয়ে একটি দমকল বাহিনীর ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও মাঝপথে ইঞ্জিনিয়ার জল ফুরিয়ে যায়। এরপর আগুন জ্বলতে থাকলেও দীর্ঘক্ষণ দ্বিতীয় ইঞ্জিন না এসে পৌঁছানোর কারণে স্বাভাবিকভাবেই আগুনে তীব্রতা বাড়তে থাকে। এছাড়াও পাওয়ার হাউসে আগুন লেগে যাওয়ার ফলে গোটা এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পাওয়ার হাউসে অগ্নি নির্বাহের কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি বলেই এই অগ্নিকাণ্ড বলে দাবি করেন তিনি।
ফলে পরিবারের ছোট ছোট শিশু বৃদ্ধ ও গবাদি পশু নিয়ে ভীষণ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পারহাউজের শ্রমিক দীনেশ ঠাকুর জানান, সন্ধ্যেবেলায় আগুন লাগার ঘটনাটি লোক মারফত খবর পাই। সেই সময় আমি পাহারোদের কাছাকাছি ছিলাম না। খবর পেয়ে ঘটনাটি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। আমার কাছে দমকলবাহিনীর নাম্বার না থাকার কারণে সেই মুহূর্তে আমি খবর দিতে পারিনি। কিন্তু সম্পূর্ণ ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পাওয়ার হাউজের পেছনদিকে মূল্যবান ট্রান্সফরমার সহ বৈদ্যুতিক কাজে ব্যবহৃত বহু মূল্যের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রয়েছে বলেও জানান দীনেশ বাবু। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণেই মূলত এই অগ্নিকাণ্ড বলে প্রাথমিক অনুমান এলাকাবাসী ও দমকল বাহিনী সদস্যদের। বড়সড় কোন দুর্ঘটনার আশঙ্কায় আগুন কখন নিয়ন্ত্রণে আসবে তা নিয়ে কার্যত কপালে দীর্ঘ চিন্তার ভাঁজ করতে শুরু করেছে এলাকাবাসীদের মধ্যে।।