ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান প্রতিস্থাপনের জন্য বরাদ্দ হয়নি সাংসদ তহবিলের অর্থ, অগত্যা আগাছা ভরা জঙ্গলেই পড়ে রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান।

0
42

নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুর: ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান প্রতিস্থাপনের জন্য বরাদ্দ হয়নি সাংসদ তহবিলের অর্থ, অগত্যা আগাছা ভরা জঙ্গলেই পড়ে রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান। উল্লেখ ১৯৭১ সালের ভারত – পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতীয় সেনা, ভারতীয় নৌসেনার পাশাপাশি বড় ভূমিকা ছিল ভারতীয় বায়ু সেনার। ভারতীয় বায়ুসেনার গৌরবজ্বল ইতিহাসকে দেশের নবপ্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলা সৈনিক বোর্ড চেয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার একটি বিমানকে বালুরঘাটে জেলা সৈনিক বোর্ডের অফিস চত্বরে প্রতিস্থাপিত করতে। সেই মত শুরু হয় প্রস্তুতি। এরপর ভারতীয় বায়ুসেনার ইস্ট্রার্ন কমান্ডের কাছে বিমান চেয়ে আবেদন জানায় জেলা সৈনিক বোর্ড। যার পরে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে বালুরঘাটে নিয়ে আসা হয় ভারতীয় বায়ুসেনার দীপক এইচ পি টি-৩২ জেট প্রপেলার এয়ারক্র্যাফট। বিমান বালুরঘাটে আসতেই বিমানটিকে দেখতে এবং ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানের খুটিনাটি জানতে প্রত্যহ স্কুল পড়ুয়াদের ভীড় জমতে শুরু করে। ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান ঘিরে স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষদের উৎসাহ দেখে বিমানটিকে প্রতিস্থাপিত করার জন্য ২০১৯ সালে সাংসদ তহবিলের অর্থ বরাদ্দের আবেদন জানিয়ে আবেদন করে জেলা সৈনিক বোর্ড। এরপর শুধু ফাইলের আসা যাওয়া। বিমান প্রতিস্থাপনের জন্য আজও বরাদ্দ হয়নি অর্থ। ফলে রঘুনাথপুর এলাকার জেলা সৈনিক বোর্ডের ভবন চত্বরের ভিতরে আগাছা-জঙ্গলের মধ্যেই বর্তমানে পড়ে রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান দীপক। জেলা সৈনিক বোর্ড সূত্রে খবর তারা বিমানটিকে প্রতিস্থাপনের জন্য মাত্র প্রায় ৩ লক্ষ টাকার প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। যে সামান্য পরিমাণ অর্থও বরাদ্দ না হওয়ায় উঠছে প্রশ্ন, কেন বরাদ্দ করা হল না সামান্য অর্থ। অপরদিকে টাকার অভাবে ভারতীয় বায়ু সেনার বিমান এভাবে পড়ে থাকাকে নিজেদের লজ্জা হিসাবেই দেখছে বালুরঘাট শহরের বাসিন্দারা। জেলা সৈনিক বোর্ডের ওয়েল ফেয়ার অর্গানাইজার হেমন্ত কুমার মুখার্জি জানিয়েছেন বিমানটিকে স্থাপনের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়ে সাংসদ তহবিলের অর্থের জন্য আবেদন করা হয়েছিল, সাংসদকেও বলা হয়েছিল, ফাইল পড়ে থাকে, এরপর ফাইল ফেরৎ চলে আসে। তিনি বলেন নির্বাচনের পর যেই সাংসদ হোক না কেন, তাকে বলতে হবে। তিনি এও বলেন প্রথমে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার এস্টিমেট করে পাঠানো হয়েছিল, এখন খরচ বেড়ে যাবে, ৬-৭ লক্ষ টাকা লাগবে।