কুড়ি বছর ধরে বন্ধ থাকা বামনগোলার সরকারি চিকিৎসালয় চালুর দাবি

মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ — কুড়ি বছর বছর ধরে বন্ধ থাকা সরকারি চিকিৎসালয় চালুর দাবি উঠলো। প্রসঙ্গত, মালদার বামনগোলায় রয়েছে এই সরকারি চিকিৎসালয়টি। প্রায় ২০ বছর আগে হঠাৎই বন্ধ হয়ে গিয়েছে চিকিৎসা কেন্দ্রটি। ২০ বছর ধরে নেই চিকিৎসক, কম্পাউন্ডার, নার্স। তাই রোগীদের নিয়ে আর আসেন না তাদের পরিবারের লোকজন। দীর্ঘ ২০ বছরের অবহেলায় পড়ে থাকা চিকিৎসালয়ের প্লাস্টার খসে পড়েছে। দেওয়ালে ধরেছে ফাটল। দরজা, জানালাগুলিও ভেঙ্গে একই পরিস্থিতি। দেওয়ালের ফাটল থেকে জন্মেছে আগাছা। ৫০ বছরেরও বেশি সময় আগে সরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বামনগোলা দাতব্য চিকিৎসালয় নামের ওই চিকিৎসা কেন্দ্রটি। যে চিকিৎসা কেন্দ্রের উপর ভরসা করতেন বামনগোলা-সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। সেই চিকিৎসা কেন্দ্রটি ২০ বছর ধরে বন্ধ থাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার মানুষজন। এখন সরকারি চিকিৎসা পরিষেবার জন্য এলাকার মানুষকে ছুটতে হচ্ছে ১৫ কিলোমিটার দুরের মুদিপুকুরে অবস্থিত হাসপাতালে।

বামনগোলা ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের কথায়, প্লাস্টার খসে পড়া ঘরের দেওয়ালে এখনও লেখা রয়েছে চিকিৎসা কেন্দ্রটির নাম। যা এক সময় এই চিকিৎসাকেন্দ্রে মানুষজনদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার দৃষ্টান্ত হয়েছে আছে।

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহুবার এই চিকিৎসা কেন্দ্রটি চালু করার জন্য বিভিন্ন সরকারি দফতরে আবেদন, নিবেদন করেও কোনও লাভ হয়নি। দীর্ঘ কয়েক বছর পর বেহাল চিকিৎসা কেন্দ্রটি সংস্কার করে বামনগোলার অন্য প্রান্তে অবস্থিত একটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থানান্তরিত করে এখানে স্বাস্থ্য পরিষেবায় আওতায় আনা হবে বলে শোনা যাচ্ছে । এনিয়ে অসন্তুষ্ট এলাকার বাসিন্দারা। এপ্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বামনগোলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মিহির রায়। তিনি বলেন,উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পোলিও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। সেটা ভালো। কিন্তু উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তো আর মেডিক্যাল অফিসার থাকবে না। আমরা চাই উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র নয়, মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগ করে চিকিৎসা কেন্দ্র করা হোক আগের মতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *