যাদবপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় ও বাম দলের সৃজন ভট্টাচার্যের সঙ্গে নির্বাচনী লড়াই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বাক যুদ্ধের মধ্য দিয়ে রিপাবলিক বাংলার সাথে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে ভট্টাচার্য বাংলায় অশান্তির জন্য হিন্দু মহাসভার নেতা শ্যামা প্রসাদ মুখার্জিকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে বিভাজনের আগে বাংলার জিডিপি সর্বোচ্চ ছিল এবং মুখার্জি ব্রিটিশদের কাছে চিঠি লিখেছিলেন যে ” ভারত ভাগ না হলেও হবে, কিন্তু বাংলা ভাগটা ব্যর্থ হতে দেবেন না”।
এই বিবৃতিটি একটি উল্লেখযোগ্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় আরেকটি সাক্ষাৎকারে ভট্টাচার্যের দাবির পাল্টা জবাব দিয়েছেন। তিনি বামপন্থীদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিকভাবে শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ভয়কে উস্কে দেওয়ার এবং “পাকিস্তানকে মানতে হবে তবেই ভারত স্বাধীন হবে” এই স্লোগানটিকে মিথ্যা প্রচার করার অভিযোগ তোলেন। তিনি বামদের ভণ্ডামি তুলে ধরেন, উল্লেখ করেছেন যে তারা যখন বিধানসভার মধ্যে বাংলা ভাগের পক্ষে ভোট দিয়েছিল, তারা এর বাইরে মুখার্জিকে দোষারোপ করেছিল। গঙ্গোপাধ্যায় ভট্টাচার্যকে তাঁর উল্লেখ করা চিঠিটি উপস্থাপন করার জন্য চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এবং যুক্তি দিয়েছিলেন যে এই অঞ্চলটিকে পাকিস্তানের অংশ হতে না দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ গঠন অপরিহার্য ছিল।
অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে বহিরাগত বলে আখ্যা দিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তিনি তারও উপযুক্ত জবাব দেন। তিনি যাদবপুরে তার শিক্ষাগত পটভূমির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সুগত বসুর চেয়ে বাইরের কেউ নন বলে এই কথার জবাব দেন। তিনি এই এলাকার সাথে তার গভীর পরিচিতির কথা তুলে ধরে প্রশ্ন করেছিলেন কিভাবে তাকে বোসের তুলনায় একজন বহিরাগত হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
যাদবপুরের এই নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু একটি রাজনৈতিক লড়াই নয়, ঐতিহাসিক বর্ণনা এবং স্থানীয় পরিচয় নিয়ে বিতর্কও। প্রার্থীরা যখন কথার যুদ্ধে লিপ্ত হয়, তখন যাদবপুরের ভোটাররা বিভাজনের উত্তরাধিকার এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বে স্থানীয় বনাম বহিরাগত অবস্থার তাৎপর্য সম্পর্কে বিপরীত মতামত উপস্থাপন করে এই কেন্দ্রের লড়াইকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছেন।